যশোরের নুর হোসেন দিবস পালিত 

প্রেস বিজ্ঞপ্তি
গতকাল বিকেলে যশোর শহরের দড়াটানা ভৈরব চত্বরে শহীদ নূর হোসেন দিবস উপলক্ষে ‘গণতন্ত্র মুক্তি পাক ও স্বৈরাচার নিপাত যাক’ শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন বাম গণতান্ত্রিক জোট যশোর জেলার সমন্বয়ক ও বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য জিল্লুর রহমান ভিটু। সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- সিপিবি যশোর জেলা সভাপতি কমরেড আবুল হোসেন, বাংলাদেশের বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগ জেলা সম্পাদক ও কেন্দ্রীয় নেতা তসলিম-উর-রহমান, বাসদ (মার্কসবাদী) যশোর জেলা সমন্বয়ক কমরেড হাচিনুর রহমান, বাসদ যশোর জেলা সমন্বয়ক শাহজাহান আলী, শ্রমিক নেতা রিপন গাজী, বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রী যশোর জেলা সাধারণ সম্পাদক রায়হান বিশ্বাস প্রমুখ। সভা পরিচালনা করেন- বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগের জেলা কমিটির সদস্য কামাল হাসান পলাশ।
আলোচনা সভায় নেতৃবৃন্দ বলেন- স্বাধীনতার ৫২ বছরে ১১টি জাতীয় সংসদ নির্বাচন হয়েছে। তার ৭টি দলীয় সরকারের অধিনে, সব কয়টিই বির্তকিত। ১৪ ও ১৮ সালের তুলনা হয় না। যে ৪টি নির্বাচন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে হয়েছে- সেগুলি মোটামুটি চলে।
যদি এই ফ্যাসিবাদী সরকার পদত্যাগ না করে নির্বাচনী তফসিল ঘোষণা করলেই দেশব্যাপি বিক্ষোভ এবং পরের দিন থেকে সর্বাত্মক অবরোধ-হরতালসহ নানা কর্মসূচি ঘোষণা করবে বাম গণতান্ত্রিক জোট।
শহীদ নূর হোসেন স্বৈরাচারকে নিপাত করতে গণতন্ত্রকে মুক্ত করতে ৩৬ বছর পূর্বে জীবন দিলেও, এরশাদের পতন হয়েছে। স্বৈরাচার ফ্যাসিবাদ হয়েছে, গণতন্ত্র এখন মুক্তি পায়নি। এই দেশে দিনের ভোট রাতে হয়, বিরোধী দলকে বাইরে রেখে নির্বাচনও করা হয়। আজও গুলি করে শ্রমিক হত্যা করা হচ্ছে।
নেতৃবৃন্দ বলেন, এই ফ্যাসিবাদ সরকারের আমলে কথা বলার অধিকার নাই, ভোট-ভাতের অধিকার নেই। দেশের লক্ষ লক্ষ কোটি টাকা বিদেশে পাচার হচ্ছে। রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকল, চিনিকল বন্ধ করে দেশের লাখ লাখ মানুষকে বেকার করেছে।
নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, বাজার নিয়ন্ত্রন না করে সকাল-বিকাল হাস্যকর বক্তব্য দিচ্ছে মন্ত্রী-এমপিরা। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার কথা বলে জায়ামাত আর হেফাজত কে বিরোধী দল বানাতে চাচ্ছে। নেতৃবৃন্দ বলেন, দেশে এ অবস্থা চলতে দেওয়া যায় না। তদরকি সরকারের অধিনে নির্বাচন ব্যাতিরে ষড়যন্ত্রের নির্বাচন হতে দেওয়া হবে না।
আলোচনা সভা শেষে বাম গণতান্ত্রিক জোট যশোর জেলা শাখার উদ্যোগে দড়টানা থেকে এক বিক্ষোভ মিছিল শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিন করে শহরের চৌরাস্তা মোড়ে এসে শেষ হয়।