যশোরের রিপন হত্যা মামলায় আটক ফরিদ হত্যার দায় স্বীকার আদালতে

যশোর প্রতিনিধি 
যশোর শহরের খড়কি বামনপাড়ার রিপন হত্যা মামলায় আটক ফরিদ হোসেন আদালতে স্বীকারোক্তি জবানবন্দি দিয়েছে। খড়কির মুন্সিবাড়ি মেস দখল নিয়ে বিরোধের জের ধরে রিপনকে পরিকল্পিত ভাবে হত্যা করা হয়েছে। এ হত্যাকান্ডের সাথে তারা ১০/১২ জন জড়িত বলে জানিয়েছে ফরিদ হোসেন। জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ইমরান আহম্মেদ আসামির এ জবানবনিদ গ্রহন শেষে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন। আটক ফরিদ হোসেন খড়কি পীরবাড়ি মসজিদের পিছন এলাকার বাসিন্দা শামসুর গাজীর ছেলে।
এর আগে এ হত্যার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে তিনজনকে আটক করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ।
ফরিদ হোসেন জানিয়েছে, খড়কির মুন্সিবাড়ি মেসে খেতে অনেক ছাত্র পড়াশুনা করে। এ মেসের ছাত্ররা রাজনৈতিক কর্মসূচী পালনে কার ডাকে যাবে এ নিয়ে স্থানীয় দুই গ্রুপের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। এর জের ধরে হাবিস ও তার সহযোগীদের পরিকল্পনায় গত ১৬ অক্টোবর রিপন ও তার বন্ধুরা মুজিব সড়কে কেনাকাটা করতে আসে। এ সংবাদ সংবাদ পেয়ে ১২/১৪ জন ঘটনাস্থলে যেয়ে রিপন ও তার বন্ধুদের ছুরিকাঘাত করে জখম করা হয়। এদের মধ্যে রিপন মারাগেছে বলে শুনেছে ফরিদ হোসেন।
উল্লেখ, গত ১৬ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যা মুজিব সড়কের বেবি ফ্যাশনের সামনে সন্ত্রাসীদের ছুরিকাঘাতে রিপন ও তার বন্ধুরা জখম হয়। আহতদের হাসপাতালে নিয়েগেল দায়িত্বরত চিকিৎসক রিপনকে মৃত ঘোষন করেন। এ ঘটনায় পরদিন নিহত রিপনের মা রূপবান বাদী হয়ে ১০ জনের নাম উল্লেখসহ অপরিচিত ৫/৭ জনকে আসামি করে কোতয়ালি থানায় হত্যা মামলা করেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পুরতানকসবা পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক রেজাউল করিম হত্যার সাথে জড়িত সন্দেহে মঙ্গলবার সাতক্ষীরা কালীগঞ্জের মাছরাঙ্গা গ্রাম থেকে এক আত্মীয়ের বাড়ি থেকে আটক করেন। আটক ফরিদের দেয়া স্বীকারোক্তিতে হত্যায় ব্যবহৃত একটি চাকু উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল বিকেলে আটক ফরিদ হোসেনকে আদালতে সোপর্দ করা হলে হত্যার সাড়িত থকার কথা স্বীকার করে আদালতে ওই জাবানবন্দি দিয়েছে।