যশোরে বাড়িতে প্রবেশের রাস্তা নিয়ে হামলার তিন  মাস পর একই পরিবারের তিনজনের নামে মামলা

বিশেষ প্রতিনিধি
বাড়িতে প্রবেশের রাস্তা নিয়ে প্রতিবেশীদের সাথে পূর্ব শত্রুতা ও মনোদ্বন্দ্ব চলার এক পর্যায় বাড়িতে হামলা চালিয়ে গুরুতর রক্তাক্ত জখম করার ঘটনার তিন মাস পর কোতয়ালি থানায় একই পরিবারের স্বামী-স্ত্রী ও তাদের ছেলেসহ অজ্ঞাতনামা ২/৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। সোমবার ২ অক্টোবর মামলাটি করেন, সদর উপজেলার হামিদপুর স্কুলপাড়া ইমান আলী রাইচ মিলের পিছনে বর্তমানে একই উপজেলার চাঁদপাড়া মাঠপাড়ার আমির আলীর ছেলে আমজাদ হোসেন। মামলায় আসামী করেন,সদর উপজেলার হামিদপুর স্কুল পাড়া ইমান আলী রাইচ মিলের পিছনে মৃত রহমান গাজীর ছেলে মহব্বত হোসেন,তার স্ত্রী মোছাঃ বেনু বেগম,ছেলে ইমন হোসেনসহ অজ্ঞাতনামা ২/৩জন।
মামলায় বাদি উল্লেখ করেন, বাদির ও আসামীদের বাড়ি হামিদপুর গ্রামে পাশাপাশি। বাদির বাড়িতে প্রবেশের রাস্তা নিয়ে আসামীদেও সাথে পূর্ব হতে শত্রুতা ও মনোদ্বন্দ্ব চলে আসছিল। সেই কারনে আসামীরা তাদের সহযোগী অজ্ঞাতনামা আসামীদের  সহায়তায় বাদিকে মারপিট খুন জখম করার জন্য বিভিন্ন ভাবে ষড়যন্ত্র করতে থাকে। গত ৩০ জুন বিকেল অনুমানি সাড়ে ৬ টায় বাদি তার হামিদপুর নিজ বাড়িতে অবস্থানকালে পূর্ব শত্রুতার কারনে আসামীরা হাতে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে বাদির বাড়িতে ঢুকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ  করে। তখন বাদি বাধা নিষেধ করলে মহব্বত হোসেন বাদির নাকে মুখে ও শরীরের বিভিন্নস্থানে এলোপাতাড়ীভাবে মারপিট করলে নাখ মুখ দিয়ে রক্ত বের করে দেয়। সাথে সাথে মহব্বত হোসেনের স্ত্রী মোছাঃ বেনু বেগম ইট দিয়ে বাদির শরীরের বিভিন্ন স্থানে এলোপাতাড়ীভাবে মারপিট করে রক্তজমা ও নিলা ফোলা জখম করে। বাদি মাটিতে পড়ে গেলে বেনু বেগমের হুকুমে তার ছেলে ইমন হোসেন লোহার সাবল দিয়ে খুন করার উদ্দেশ্যে মাথায় আঘাত করলে বাদি হাত দিয়ে  ঠেকালে হাতের হাড় ভেঙ্গে গুরুতর আহত হয়। বাদির ডাক চিৎকারে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে আসলে আসামীরা প্রকাশ্যে হত্যার হুমকী দিয়ে দ্রুত চলে যায়। বাদিকে গুরুতর আহত অবস্থায় যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ছাড়পত্র দিয়ে বাদি বাড়িতে আসলে আবার অসুস্থ্য হয়ে পড়লে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ভারতে নিয়ে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে সুস্থ্য হয়ে বাড়িতে এসে থানায় মামলা করেন।#