যশোরের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) এম. ইদ্রিস আলীকে শো-কজ করেছে আইনজীবী সমিতি

যশোর প্রতিনিধি: আসামি পক্ষের আইনজীবী না হয়েও মামলার সার্টিভাইড কপি তুলে জামিন করানোর ঘটনায় দেয়া অভিযোগে পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট এম ইদ্রিস আলীকে শো-কজ করেছে আইনজীবী সমিতি । শো-কজের কপি পাওয়ার তিন কার্যদিবসের মধ্যে অভিযোগের কারণ দর্শাতে বলা হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন অভিযোগকারী অ্যাডভোকেট সৈয়দ কবীর হোসেন জনী।

অ্যাডভোকেট সৈয়দ কবীর হোসেন জনী অভিযোগে জানা গেছে যশোর শহরের রেল রোড চার খাম্বার মোড় এলাকায় গত ২৫ এপ্রিল রাতে ফারহানা পারভীন উর্মি নামে এক যুবতী খুন হন। এ ঘটনায় তার ভাই ফারদিন ও মা আইরিন বেগমকে আটক করে পুলিশ। হত্যার ঘটনায় নিহতের চাচা রবিউল ইসলাম আটক দুই জনের বিরুদ্ধে কোতয়ালি থানায় মামলা করেন। অ্যাডভোকেট সৈয়দ কবীর হোসেন জনি আসামি পক্ষ থেকে ক্ষমতাপ্রাপ্ত হয়ে তাদের জামিনের জন্য আদালতে আবেদন করেন। যশোরের আদালত নিহতের মা আইরিন বেগমকে জামিন দিলেও ভাই ফারদিনের জামিন দেয়নি। এ জন্য উচ্চ আদালতে তার জামিন আবেদনের জন্য প্রস্তুতি নেন অ্যাডভোকেট কবীর হোসেন জনী। কিন্তু এরই মধ্যে অ্যাডভোকেট এম ইদ্রিস আলী সরকারি কৌশুলি হয়ে সংশ্লিষ্ট বিভাগ থেকে মামলার সার্টিফাইড কপি সংগ্রহ করেন। সরকারি কৌশুলি এম ইদ্রিস আলী আইনজীবী সমিতির অনুমতি ছাড়াই লাভবান হওয়ার উদ্দেশ্যে অনৈতিক উপায়ে একজন আইনজীবীকে দিয়ে আসামি ফারদিনকে গত ২০ আগস্ট উচ্চ আদালত থেকে জামিন করিয়েছেন। এছাড়া তিনি তার জুনিয়র অ্যাডভোকেট আহাদ আলীকে দিয়ে আদালতে জামিননামা জমা দিয়েছেন। বিষয়টি আইনজীবী সমিতির নিয়মনীতির লংঘন উল্লেখ করে
গত ১২ সেপ্টেম্বর যশোর জেলা আইনজীবী সমিতিতে লিখিত অভিযোগ করেন অ্যাডভোকেট সৈয়দ কবীর হোসেন জনি। এ অভিযোগের ভিত্তিতে আইনজীবী সমিতি কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়ে, নোটিশ প্রাপ্তির তিন কার্য দিবসের মধ্যে কারন দর্শাতে বলা হয়েছে। অন্যথায় সমিতির গঠনতন্ত্র অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে উল্লেখ করা হয়েছে।