যশোরে সন্ত্রাসী কার্যকলাপের প্রতিবাদ করায় হামলা একই পরিবারের তিনজন আহতর ঘটনায় মামলা

যশোর প্রতিনিধি 
এলাকায় সন্ত্রাসী মূলক কর্মকান্ড করে বেড়ানোর ফলে বাধা নিষেধ করলে সন্ত্রাসী ছেলে ও মা মিলে একই পরিবারের সদস্যদের গালিগালাজ করার এক পর্যায় হামলা চালিয়ে আহত করেছে। আহতরা হচ্ছে, সদর উপজেলার রুপদিয়া মধ্যপাড়া বাজারের পাশে ১৪ নং নরেন্দ্রপুর ইউনিয়নের আব্দুল হামিদের ছেলে সিদ্দিক (৫০),আব্দুল হামিদের স্ত্রী বৃদ্ধা জবেদা বেগম (৭০), চান্দু মিয়ার মেয়ে রাজিয়া বেগম। হামলাকারীরা হচ্ছে, একই গ্রামের ইসমাইল হোসেনের ছেলে বাদশা হোসেন ও তার মাতা মোছাঃ জাহানারা বেগম। রোববার দিবাগত গভীর রাত ১১ সেপ্টেম্বর মামলাটি করেন,সদর উপজেলার রুপদিয়া মধ্যপাড়া বাজারের পাশের চান্দুমিয়ার ছেলে মিলন হোসেন।
মামলায় বাদি উল্লেখ করেন,বাদশা হোসেন এলাকায় চিহ্নিত সন্ত্রাসী ও কিশোর গ্যাং,সে মাদক বিক্রয় ও মাদক সেবন করে। এলাকায় বিভিন্ন সন্ত্রাসী মূলক কর্মকান্ড করে বেড়ায়। তাহার এহেন কার্যকলাপে বাদির চাচা সিদ্দিক,দাদী জবেদা বেগম ও বোন রাজিয়া বেগম বাদশা হোসেনকে বাধা নিষেধ করলে বাদশা হোসেন তার মায়ের সহায়তায় সিদ্দিক,জবেদা বেগম ও রাজিয়া বেগমকে মারপিট খুন জখম করার হুমকী প্রদর্শন করতে থাকে। গত ১০ সেপ্টেম্বর রোববার বেলা ২ টায় পূর্ব শত্রুতার কারনে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে হাতে চাকু,লোহার রড নিয়ে রুপদিয়া গ্রামে বাদির বাড়িতে প্রবেশ কওে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। তখন বাদির চাচা,দাদী ও বোন বাধা নিষেধ করলে লোহার রড দিয়ে দাদী জবেদা বেগমকে খুন করার উদ্দেশ্যে স্বজোওে মাথায় আঘাত করে গুরুতর রক্তাক্ত জখম করে ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করে চাপা,রক্তাক্ত  ও ফোলা জখম করে। তখন বাদির চাচা সিদ্দিক ঠেকাতে গেলে জাহানারা বেগমের সহায়তায় ও হুকুমে বাদশা হোসেন লোহার রড  দিয়ে খুন করার উদ্দেশ্যে মাথায় আঘাত কওে গুরুতর রক্তাক্ত জখম করে। তখন বাদির বোন রাজিয়া বেগম ঠেকাতে গেলে বাদশা হোসেন ধারালো চাকু দিয়ে খুন করার উদ্দেশ্যে বুকে আঘাত করতে গেলে বাদির বোন ঘুরে দাড়ালে উক্ত আঘাত বাম হাতের বাহুতে লেগে গুরুতর রক্তাক্ত জখম প্রাপ্ত হয়। তখন স্থানীয় লোকজন এগিয়ে আসলে আসামীরা প্রকাশ্যে বাদির পরিবারকে জীবন নাশের হুমকী দিয়ে দ্রুত চলে যায়। গুরুতর আহত অবস্থায় জবেদা বেগম,রাজিয়া বেগম ও সিদ্দিককে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।