নিজস্ব প্রতিবেদক: বাগেরহাট সদরে অভিযান চালিয়ে নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলামের পাঁচ সদস্যকে আটক করেছে র্যাব। বুধবার রাতে র্যাব সদর দপ্তরের গোয়েন্দা শাখা ও খুলনার র্যাব-৬ এই অভিযান চালায়। এ সময় তাদের কাছ থেকে উগ্রবাদী বই ও সাংগঠনিক কার্যক্রম সংক্রান্ত নোট বই উদ্ধার করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে খুলনায় র্যাব-৬ কার্যালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে র্যাব সদর দপ্তরের পরিচালক খন্দকার আল মইন এসব তথ্য জানান।
আটক ৫ জন জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলামের খুলনা, বাগেরহাট ও গোপালগঞ্জ অঞ্চলের দাওয়াতি শাখার দায়িত্বপ্রাপ্ত। তারা হলেন- পিরোজপুরের মো. তরিকুল ইসলাম, গোপালগঞ্জের মো. আকাশ ওরফে আব্দুল্লাহ, তাজিমুদ্দিন ওরফে জসিম উদ্দিন ও মো. রিপন, মাদারীপুরের ইসমাইল হাসান অনিক।
প্রেস ব্রিফিংয়ে জানানো হয়, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানায়, বিভিন্ন সময় অনলাইনে তামিম আল আদনানী, হারুন ইজহার, গুনবীসহ বিভিন্ন আধ্যাত্মিক নেতার বক্তব্য দেখে উগ্রবাদে উদ্বুদ্ধ হয়ে সংগঠনের সদস্যদের মাধ্যমে এই সংগঠনে যোগদান করে। পরবর্তীতে তারা সংগঠনের সদস্য সংগ্রহে দাওয়াতি কার্যক্রম পরিচালনা করছিল।
র্যাব জানায়, পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন দেশে মুসলমানদের উপর নির্যাতনসহ বিভিন্ন ধর্মীয় অপব্যাখ্যার মাধ্যমে ভুল বুঝিয়ে সংগঠনের সদস্যদের তথাকথিত জিহাদের মাধ্যমে ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় আগ্রহী করে তোলে। এ উদ্দেশ্যে সংগঠন সদস্যদেরকে তারা বিভিন্ন উগ্রবাদী বই, মুসলমানদের উপর নির্যাতন ও উগ্রবাদী নেতাদের বক্তব্যের ভিডিও সরবরাহ করতো। এছাড়া তারা সংগঠনের কার্যক্রম পরিচালনার জন্য ভুল তথ্য প্রদান করে তাদের আত্মীয়-স্বজন, বিভিন্ন মাদ্রাসা ও সদস্যদের নিকট থেকে নিয়মিত অর্থ সংগ্রহ করতো। বিভিন্ন সময় তারা মসজিদ, বাসা বা বিভিন্ন স্থানে সদস্যদের নিয়ে গোপন সভা পরিচালনা করতো।
আটক তরিকুল ২০২১ সালে দিঘলিয়াতে একটি মাদ্রাসায় অধ্যয়নকালীন আনসার আল ইসলামের ওমর নামের একজন উচ্চপদস্থ সদস্যের মাধ্যমে উদ্বুদ্ধ হয়ে দলে যোগদান করে। পরে আবদুল্লাহসহ বেশ কয়েকজন সহপাঠীকে দাওয়াতি কার্যক্রমের মাধ্যমে সংগঠনে যুক্ত করে। ওই বছর আবদুল্লাহর মাধ্যমে তাজিম উদ্দিন সংগঠনে যুক্ত হয়। তরিকুলের মাধ্যমে ইসমাইল এবং আবদুল্লাহর মাধ্যমে রিপন আনসার আল ইসলামের কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ত হয়।
