যশোরে ব্যবসায়ীর দোকানে মাদক ব্যবসায়ীদের হামলা, মারধর 

যশোর প্রতিনিধি 
যশোর শহরের ঝালাইপট্টিতে গাঁজা সেবন ও ব্যবসা করতে নিষেধ করার অপরাধে বাঁধন ফাস্ট ফুড নামে এক ব্যবসায়ীর দোকানে হামলা চালিয়েছে একদল মাদকসেবী ও ব্যবসায়ী। চুড়িপট্টি এলাকার হেলালের ছেলে মাদক ব্যবসায়ী ও মাদকসেবী স্বাধীনের নেতৃত্বে ১০/১৫ জনের একটি দল উক্ত দোকানের মালিক মহসিন সরকারকে মারধর করে। এসময় মারামারি ঠেকাতে গেলে অপর এক স্থানীয় ব্যবসায়ী মাসুদ পারভেজের উপরও চড়াও হয়ে মারধর করে তারা। ঘটনাটি ঘটে গত মঙ্গলবার দুপুর আনুমানিক সাড়ে ১২টার দিকে শহরের ঝালাইপট্টি রোডে।
জানাগেছে, রূপদিয়া এলাকার কাঠমিস্ত্রি শাহাজান প্রতিনিয়ত ঝালাইপট্টিতে এসে গাঁজা সেবন ও বিক্রি করে। কয়েকদিন আগে স্থানীয় ব্যবসায়ী মহসীন তাকে গাঁজা সেবন ও বিক্রি করতে নিষেধ করেন। এসময় কাঠমিস্ত্রি শাহাজান তাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও দেখে নেওয়ার হুমকি প্রদান করে চলে যায়। পরবর্তীতে শাহাজান শহরের চুড়িপট্টি এলাকার মাদকসেবী স্বাধীনসহ আরো কয়েকজনের সাথে সখ্যতা গড়ে তোলে। প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য শাহাজান শহরের চুড়িপট্টি এলাকার স্বাধীনসহ ১০/১৫ জনের একটি মাদকসেবী গ্রুপকে পাঠায় মহসিনকে মারধর করার জন্য। এরপর তারা ঝালাইপট্টিতে অবস্থিত বাঁধন ফাস্টফুডের দোকানে যেয়ে মহসীন সরদারকে কলার ধরে মারধর ও দোকানের মালামাল ভাংচুর করে ক্ষতিগ্রস্থ করে।
মারধরের শিকার মহসীন সরকার জানান, আমি তাকে (শাহাজান) গাঁজা সেবন ও বিক্রি করতে নিষেধ করায় আমার উপর ক্ষিপ্ত ছিলো। যার প্রেক্ষিতে আজকে আমার উপর এই হামলা হয়েছে। এতে আমার দোকানে ব্যবহৃত একটি ফ্রিজসহ বেশ কিছু মালামালের ক্ষতি হয়েছে। আর যারা এসে হামলা করেছে তারা সকলেই মাদকসেবী ও কারবারী। ভালো ভাবে বুঝিয়ে বললেও তারা কোন কথা শুনতে নারাজ ছিল। ঘটনার সময় আমার এক ছোট ভাই এসে তাদের নিবৃত্ত করার চেষ্টা করে। কিন্তু তারা তাকেও মারধর করে।
হামলার শিকার মাসুদ পারভেজ জানান,আমি খবর পাই মহসীন সরকারকে কারা যেন মারধর করতে এসেছে। তখনই আমি ছুটে যাই ভাইয়ের দোকানে। সেখানে যেয়ে দেখি চুড়িপট্টি এলাকার স্বাধীনসহ ১০/১৫ জনের একদল দুর্বৃত্ত মহসীন ভাইকে মারধর করছে। আমি ঠেকাতে গেলে তারা আমাকেও মারধর করে।
উল্লেখ্য চুড়িপট্টি এলাকার হেলালের ছেলে স্বাধীন নিয়মিত মাদকসেবী ও ইয়াবা বিক্রেতা। স্থানীয় এক নেতার ছত্রছায়ায় চুড়িপট্টিসহ মাড়োয়াড়ি মন্দির এলাকায় গোপনে ইয়াবা ফেনসিডিল, গাঁজা ব্যবসার কার্যক্রম চালায় স্বাধীন ও তার দলবল। এছাড়া ছোটখাটো চুরি, ছিনতাইয়ের সাথে তারা জড়িত আছে বলে জানিয়েছে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক বাসিন্দারা। তবে তার অপকর্মের ভয়ে কেউ মুখ খুলতে সাহস পায় না।
সদর ফাঁড়ির একজন পুলিশ কর্মকর্তা জানিয়েছেন ঘটনা শুনে তাৎক্ষনিক আমারা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলেও অভিযুক্তদের কাউকে পাওয়া যায়নি। তবে আমারা তাদেরকে আটকের জন্য অভিযান অব্যহত রেখেছি।