আলফাডাঙ্গা (ফরিদপুর) প্রতিনিধি: একাত্তরে দেশ স্বাধীন হওয়ার পর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মাত্র সাড়ে তিন বছর সময় পেয়েছিলেন। আর এই অল্প সময়ের মধ্যেই স্বাধীনতার মহান এই স্থপতি যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশের সবকিছু পুনর্গঠন করেছিলেন।
ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলার গোপালপুর বাজারে আয়োজিত এক আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে কেন্দ্রীয় কৃষক লীগের সাবেক সহ-সভাপতি, কাঞ্চন মুন্সী ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ও ঢাকা টাইমস সম্পাদক আরিফুর রহমান দোলন একথা বলেন।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৮তম শাহাদাত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে বুধবার বিকালে এ আলোচনা সভার আয়োজন করে গোপালপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ সহযোগী সংগঠন।
ব্যক্তি শেখ মুজিবের অসাধারণত্ব তুলে ধরে দোলন বলেন, ‘দেশ ও জাতির মুক্তি সংগ্রামের লক্ষ্য পূরণে বঙ্গবন্ধু ছিলেন খুব ধীরস্থির। তাঁর এই মনোভাবকে রীতিমতো সমীহ করতেন পাকিস্তানি শাসকেরা। মূলত বঙ্গবন্ধুর অবিচল দৃঢ় ব্যক্তিত্বের কারণেই বাঙালির মুক্তির সংগ্রাম তরান্বিত হয়; যার ফলশ্রুতিতে আসে স্বাধীনতা।’
‘দেশ স্বাধীন হওয়ার পর মাত্র সাড়ে তিন বছর সময় পান জাতির পিতা। এই অল্পসময়েই তিনি বাংলাদেশকে আবারো গড়ে তুলেছিলেন। ভাঙাচোরা রাস্তা-ব্রিজ-কালভার্ট-বাড়িঘর থেকে শুরু করে প্রায় শূন্য ব্যাংক রিজার্ভ, বন্ধ কলকারখানা, সবকিছু তিনি পুনর্গঠিত করেছিলেন।’
ঢাকা টাইমস সম্পাদক দোলন উল্লেখ করেন, যে জাতির মুক্তির সংগ্রামে বঙ্গবন্ধু নিজের জীবনকে উৎসর্গ করেছিলেন, সেই জাতিরই কিছু কুলাঙ্গার সন্তান পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট তাঁকে সপরিবারে হত্যা করে। বঙ্গবন্ধুর জ্যেষ্ঠ কন্যা বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ছোট কন্যা শেখ রেহানা বিদেশে থাকায় ভাগ্যক্রমে বেঁচে যান।
জাতির পিতার অসমাপ্ত সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন মন্তব্য করে ফরিদপুর-১ আসনের জননেতা দোলন বলেন, ‘আজকে তাঁর নেতৃত্বে বাংলাদেশ বিশ্বের কাছে মডেল। এই ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে আগামীতে আবারো শেখ হাসিনাকে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত করার বিকল্প নেই।’
‘পঁচাত্তরের মতো এখনো ষড়যন্ত্র হচ্ছে। দেশি-বিদেশি সকল ষড়যন্ত্র মোকাবিলায় শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে হবে, ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। জাতির পিতাকে সপরিবারে হারাবার শোককে শক্তিতে পরিণত করে তাঁর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ে তুলতে হবে।’
গোপালপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. মোনায়েম খাঁনের সভাপতিত্বে আলোচনায় আরও অংশ নেন- উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আশরাফ উদ্দিন তারা, কেন্দ্রীয় কৃষক লীগ নেতা শেখ শওকত আহমেদ, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ইকবাল হাসান চুন্নু, উপজেলা কৃষক লীগের আহবায়ক ও উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান শেখ দেলোয়ার হোসেন, জেলা পরিষদ সদস্য ও আওয়ামী লীগ নেতা আহসান হাবীব হাসান শিকদার, উপজেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক সেলিম রেজা, উপজেলা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহ-সভাপতি কামরুজ্জামান কদর, গোপালপুর ইউনিয়ন শ্রমিক লীগের সভাপতি হাসমত আলী কাজল।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন আলফাডাঙ্গা উপজেলা কৃষক লীগের যুগ্ম আহবায়ক নাজমুল ইসলাম রানা। কোরআন তেলাওয়াত করেন, গোপালপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক মাওলানা আবু বকর সিদ্দিক ও দোয়া পরিচালনা করেন গোপালপুর নূরানী মাদ্রাসার সুপার আমিরুল ইসলাম।
এসময় আলফাডাঙ্গা আদর্শ কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ এম এম মুজিবুর রহমান মুজিব, উপজেলা কৃষক লীগের সদস্য সচিব খান আমিরুল ইসলাম, গোপালপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. ফরিদ উদ্দিন, আলফাডাঙ্গা প্রেসক্লাবের সভাপতি সেকেন্দার আলম, সাধারণ সম্পাদক আলমগীর কবিরসহ স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও আওয়ামী লীগের অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।