যশোরে ফেনসিডিল ও হেরোইনের মামলায় ইউপি সদস্যসহ দুই মাদক ব্যসায়ীকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ড

যশোর প্রতিনিধি 
যশোরে ফেনসিডিল ও হেরোইনের মামলায় ইউপি সদস্যসহ দুই মাদক ব্যসায়ীকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ড ও অর্থদন্ডের আদেশ দিয়েছে আদালত। ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় আলাউদ্দিন নামে একজনকে খালাস দেয়া হয়েছে। সোমবার অতিরিক্ত দায়রা জজ তাজুল ইসলাম ও জুয়েল অধিকারী আলাদা রায়ে এ সাজা দিয়েছেন।
সাজাপ্রাপ্ত আসামিরা হলো, শার্শা ইউনিয়ন পরিষদের ইউপি সদস্য তুহিন ও বেনাপোলের রঘুনাথপুর গ্রামের শরিফুল ইসলাম মল্লিক।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন অতিরিক্তি পিপি অ্যাডভোকেট আসাদুজ্জামান ও এপিপি অ্যাডভোকেট লতিফা ইয়াসমিন।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, ২০০৮ সালের ২৬ মে বেনাপোলের রঘুনাথপুর দরগাহ ফিলিং স্টেশনের সামনে ডিবি পুলিশ বিভিন্ন বাসে তল্লাসি চালায়। বেনাপোল থেকে ছেড়ে আসা একটি যাত্রীবাহী বাসতল্লাসি কালে সন্দেহজন ভাবে শরিফুল আটক করা হয়। এসময় শরিফুলের দেহ তল্লাশি করে বিশেষ কায়দায় লুকিয়ে রাখা ৫শ’গ্রাম হেরোইন উদ্ধার করা হয়। এঘটনায় বেনাপোল পোর্ট থানায় মাদক নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করেন এসআই কামাল হোসেন। মামলাটি তদন্ত শেষে এসআই আবুল বাসার আসামি শরিফুল ইসলাম মল্লিককে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট জমাদেন। এমামলার সাক্ষী গ্রহন শেষে আসামি শরিফুল ইসলামের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় বিচারক তাকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ড, ২০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ৬ মাসের কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন।
অপরদিকে, ২০১২ সালের ২৮ জুন দুপুর ডিবি পুলিশ শার্শা ইউনয়ন পরিষদের সদস্য তুহিনের রাইস মিলে অভিযান চালায়। এ সময় মিলের ভিতর একটি ভ্যানের উপর কালো পলিথিন দিয়ে ঢেকে রাখা ১২টি প্যাকেট পাওয়া যায়। যার মধ্যে থেকে ১১শ’৬০ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় তুহিন ও তার সহযোগী আলাউদ্দীনের বিরুদ্ধে শার্শা থানায় মামলা করেন ডিবির এসআই শাহাজাহান সিরাজ। মামলাটি তদন্ত শেষে এসআই আবুল খায়ের মোল্লা আদালতে ওই দুইজনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট জমাদেন। এ মামলার সাক্ষী গ্রহণ শেষে আসামি ইউপি সদস্য তুহিনের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় বিচারক তাকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ড, ৫ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ১ মাসের কারাদ-ের আদেশ দিয়েছেন। সাজাপ্রাপ্ত শরিফুল ইসলাম পলাতক রয়েছে।