যশোরে হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামী নূরু খাঁ র‌্যাবের হাতে গ্রেফতার

যশোর প্রতিনিধি
র‌্যাব-৬ যশোর ক্যাম্পের একটি চৌকসদল যশোরের শার্শা উপজেলার শিকারপুর গ্রামের ব্যবসায়ী আলমগীর হোসেন হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামী নূরু খাঁকে গ্রেফতার করেছে। রোববার ৬ আগস্ট  দুপুরে খুলনা জেলার খানজাহান আলী থানার গিলাতলা ২নং কলোনী এলাকা থেকে নূর খাঁকে গ্রেফতার করে। সে যশোরের মণিরামপুর উপাজেলার টুনিয়াগড়া  বেগারীতলা) গ্রামের গফুর খাঁর ছেলে।
র‌্যাব-৬ যশোর ক্যাম্প সূত্রে জানাগেছে,যশোরের শার্শা থানাধীন শিকারপুর গ্রামের আলমগীর হোসেন ছিলেন একজন ব্যবসায়ী। আলমগীর হোসেন ও নূরু খাঁ একত্রে ব্যবসা করতেন। এরই ধারাবাহিকতায় বিগত ২০০৩ সালের ১১ ডিসেম্বর আলমগীর হোসেনের বাসায় নূরু খাঁ এসে ব্যবসার কাজে ঝিকরগাছা যেতে হবে বলে জানায়। আলমগীর হোসেন তখন বাড়িতে গচ্ছিত রাখা ৭৫ হাজার টাকা নিয়ে আলমগীর হোসেন নূরু খাঁ এর বাড়ি হতে ঝিকরগাছা এলাকায় রওয়ানা করেন। পরবর্তীতে আলমগীর হোসেন বাড়িতে না ফেরায় আলমগীর হোসেনের স্ত্রী নূরু খাঁর সাথে যোগাযোগের চেষ্টা চালিয়ে ব্যর্থ হয়। পরে নূরু খাঁ ও তার সহযোগী ব্যবসায়ীদের নাম উল্লেখ করে শার্শা থানায় ১৭ ডিসেম্বর খুন ও গুম করার উদ্দেশ্যে অপহরণ মামলা করেন। নূরু খাঁ ঘটনার পরপর আত্মগোপন শুরু করেন। উক্ত মামলায় সে সময় মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা নূরু খাঁসহ তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে আদালতে রিপোর্ট দাখিল করেন। আসামী পলাতক থাকায় নূরু খাঁর বিরুদ্ধে গত ২৫ জুলাই বিজ্ঞ আদালতের বিচারক যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ড ২০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো ৬ মাসের সশ্রম কারাদন্ড প্রদান করেন। নূরু খাঁ বিভিন্ন স্থানে পালিয়ে জীবন যাপন শুরু করেন। র‌্যাব-৬ যশোর ক্যাম্পের একটি চৌকসদল গোপন সূত্রে খবর পেয়ে যাবজ্জীবন সাজা প্রাপ্ত পলাতক আসামী নূরু খাঁকে গ্রেফতার করে। পরে তাকে সংশ্লিষ্ট থানার মাধ্যমে আদালতে সোপর্দ করেন।