যশোরে শিশুকে তার গর্ভধারিনী মা ঘাড় ঘুরিয়ে হত্যা দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি

যশোর প্রতিনিধি
যশোর সদর উপজেলার কিসমত রাজা পুর গ্রামে প্রবাসী মজনু খাঁ এর ছোট মেয়ে আমেনা (৯) এর মৃত্যুর জট খুলেছে তার গর্ভধারিনী মাতা রোজিনা বেগম। শুক্রবার ৪ আগস্ট রোজিনা বেগম আদালতে মেয়ে হত্যার বর্ননা দিয়ে স্বেচ্ছায় ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন বলে জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) এর এসআই মফিজুল ইসলাম রাতে প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে নিশ্চিত করেছেন। মায়ের হাতে মেয়ের মৃত্যু হওয়ায় মা রোজিনা বেগম মৃত্যুর  রহস্য  গোপন করতে আত্মহত্যার নাটক মঞ্চস্থ করে বিভ্রান্ত করেন। যে ঘটনা গত ২৫ জুলাই বিকেল থেকে ওই গ্রামে চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে।
জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) সূত্রে বলা হয়েছে, গত ২৫ জুলাই বিকেল সাড়ে ৫ টায় যশোর সদর উপজেলার কিসমত রাজাপুর গ্রামে প্রবাসী মজনু খাঁ এর ছোট মেয়ে আমেনা আত্মহত্যা করেছে । এমন সংবাদ পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে বিস্তারিত দেখে ও শুনে লাশ ময়না তদন্তের জন্য যশো ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে মর্গে প্রেরণ করেন। প্রবাসী মজনু খাঁর এর বৃদ্ধ মাতা ও মজনু খাঁ এর স্ত্রী রোজিনা ও বাঘারপাড়া থানার খলসি গ্রামের নুর জালাল বিশ^াসের ছেলে গ্রাম্য ডাক্তার  মজনু কে সন্দেহ করে এবং তাদের বিরুদ্ধে হত্যা ও ধর্ষনের অভিযোগ এনে কোতয়ালি থানায় মামলা হয়। মামলা নং ১০৮(৭) ২৩ইং। মামলার এজাহার নামীয় দুইজনকে আটক করে  জিজ্ঞাসাবাদ করলে মা রোজিনা বেগম ঘটনা ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার জন্য বিভ্রান্তি মূলক তথ্য দেয়। পরে তাদেরকে পুলিশ ওই মামলায় তাদেরকে জেল হাজতে প্রেরণ করেন। বিজ্ঞ আদালতের  আদেশে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা রোজিনা বেগমকে ১ দিনের রিমান্ডে নিয়ে জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) ও থানা পুলিশ যৌথভাবে জিজ্ঞাসাবাদে আমেনার গর্ভধারিনী মা রোজিনা বেগম নিজের দোষ স্বীকার করে জানায় মেয়ের উপর রেগে গিয়ে ঘাড়ে হাত দিয়ে ঘুরিয়ে দিলে মেয়ের ঘাড় মটকে  মারা যায়। পরে মাতা রোজিনা বেগম মেয়ে হত্যার দায় থেকে বাঁচতে জ¦ালানী রাখার ঘরে রশি টাঙ্গিয়ে মেয়েকে ফাঁস দেয় এবং আত্মহত্যঅ বলে চিৎকার করতে থাকে। পরে মাতা রোজিনা বেগমকে নিয়ে এলাকায় গিয়ে তদন্তে সত্যতা পেয়ে রোজিনা বেগমকে শুক্রবার বিকেলে আদালতে সোর্পদ করলে তিনি স্বেচ্ছায় ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি প্রদান করেন।