যশোরে বোনদের উত্যক্ত করার প্রতিবাদ করায় তিন ভাইবোনকে মারপিট স্বর্ণের চেইন লুটের ঘটনায় মামলা

বিশেষ প্রতিনিধি
বোনদের উত্যক্ত করার প্রতিবাদ করায় এলাকার চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী ও সন্ত্রাসীদের হাতে ভাই ও দুই বোন হামলার শিকার হয়েছে।  এ সময় দুই বোনকে শ্লীলতাহানী ঘটানোর এক পর্যায় ১০আনা ওজনের স্বর্ণের চেইন ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনায় কোতয়ালি থানায় মামলা  হয়েছে। শনিবার ২৯ জুলাই দুপুরে মামলাটি করেন,যশোর সদর উপজেলার  মুড়োলী মাঠপাড়া (খাঁ পাড়া) এলাকার মৃত জামাল হোসেনের ছেলে টগর গাজী। মামলায় আসামী করেন,সদর উপজেলার রামনগর ( ধোপাপাড়া) গ্রামের ইব্রাহিম হোসেন স্বপনের ছেলে সাগর হোসেন, একই এলাকার মাদক ব্যবসায়ী  শালি বেগমের নাতী আব্দুল্লাহ, ইব্রাহিম স্বপনের ছেলে উছামা, মুক্তি ইউনুছের ছেলে আসিফ, বকুল হোসেনের ছেলে রায়হান হোসেনসহ অজ্ঞাতনামা ৩/৪জন।
মামলায় টগর গাজী উল্লেখ করেন,আসামীরা এলাকার সংঘবদ্ধ অপরাধ দলের সদস্য ও পেশাদার মাদক ব্যবসায়ী। এলাকার বিভিন্ন সন্ত্রাসী মূলক কর্মকান্ড করে বেড়ায়। আসামীরা বিভিন্ন সময় বাদির বোন রুবিনা খাতুন (২৪) ও শিখা খাতুন (২৩) কে চলাচলের পথে বিভিন্ন ভাবে উত্যক্তসহ আজে বাজে কথাবার্তা বলে। বাদি ও তার পরিবারের লোকজন তাদের এহেন  কার্যকলাপ করতে নিষেধ করলে আসামীরা ক্ষিপ্ত হয়ে বাদির পরিবারকে মারপিট খুন জখম করার জন্য বিভিন্নভাবে হুমকী প্রদর্শন করতে  থাকে। গত ২২ জুলাই রাত ৯ টায় বাদি ও তার বোন রুবিনা ও শিখা খাতুন একত্রে তাদের বড় বোন সখিনা খাতুনের রাজারহাট  (টাওয়ারের পাশে) বাড়ি হতে খাওয়া দাওয়া করে বাড়িতে যাওয়ার সময় রাত সাড়ে ৯ টায় রাজারহাট গরু হাটের পিছনে টাওয়ারের সামনে রাস্তার উপর পৌছালে পূর্ব শত্রুতার কারনে আসামীরা চাইনিজ কুড়াল,লোহার রড ও হাতুড়ীসহ বাদিসহ তার দুই বোনের পথের গতি রোধ করে। বোনদের দাঁড় করিয়ে আজে বাজে কথাবার্তা বলে। বাদি নিষেধ করায় সাথে সাথে সাগরের হুকুমে আব্দুল্লাহ  চাইনিজ কুড়াল দিয়ে বাদিকে খুন করার উদ্দেশ্যে মাথায় কোপ করে রক্তাক্ত জখম করে। অন্যান্য আসামীরা বাদিকে খুন করার উদ্দেশ্যে লোহার,রড এবং সেলাই রেঞ্জ দিয়ে  বাদির হাতে ও পায়ে এবং শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করে ম মাটিতে ফেলে গুরুতর জখম করে। তখন বাদির বোন রুবিনা ঠেকাতে গেলে সাগর ও উছামা লোহার রড দিয়ে মাথায়,ডান হাতের বাহুতে ,বুকে ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে এলোপাতাড়ী ভাবে মারপিট করে রক্তজমা ও ফোলা জখম করে পরনের কাপড় চোপড় টানা হেচড়া করে শ্লীলতাহানী ঘটায় সাগর গলায় থাকা ১০ আনা ওজনের স্বর্ণের চেইন কেড়ে নেয়। তখন বোন শিখা  খাতুন এগিয়ে গেলে আসামীরা সকলে শিখাকে এলোপাতাড়ীভাবে মারপিট করে জখম করে। উছামা পরনের কাপড় চোপড় ধরে টানা হেচড়া করে শ্লীলতাহানী ঘটায়। তখন বাদি ও তার দুই বোনের ডাক চিৎকারে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে আসলে আসামীরা হত্যার হুমকী দিয়ে দ্রুত চলে যায়। বাদি রক্তাক্ত জখম অবস্থায় যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হয়। দ্ইু বোনকে প্রাথমিক চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন। পরে পারিবারিকভাবে আলোচনা করে কোতয়ালি থানায় মামলা করেন।#