যশোরে নব্য স্টাইলে ছিনতাই ও জিম্মি করে সর্বস্ব লুটে নিচ্ছে একটি চক্র

যশোর প্রতিনিধি
যশোরে নব্য স্টাইলে ছিনতাই ও জিম্মি করে সর্বস্ব লুটে নিচ্ছে একটি চক্র। চক্রটি শহরের আশপাশ দিয়ে গড়ে উঠা বিনোদন কেন্দ্র ও মিনি চাইনিজ রেস্টুরেন্ট গুলা টার্গেট করছে। প্রায় প্রত্যেকটা রেস্টুরেন্টে এই চক্রের সদস্যরা অবস্থান করে। টার্গেট করে যুগলদের। বের হওয়ার সাথে সাথে ৫/৭ জন তাদের পথ আটকে বিভিন্ন রকম ভয় ভিতি দেখিয়ে প্রথমে মোবাইল মানিব্যাগ নিয়ে নেয়। এখানেই শেষে নয়, মানি ব্যাগে থাকা এটিএম কার্ডটি নিয়ে ভুক্তভুগি ব্যক্তিকে নিয়ে ব্যাংকের বুথে গিয়ে সব টাকাও উত্তলন করে নেয়। গত কয়েকদিন ধরে শহরে এমন ঘটনা ঘটেই চলেছে। ইতমধ্যে এই চক্রের এক সদস্য সবুজ হোসেনকে আটক করেছে পুলিশ। সবুজ পূর্ব বারান্দি মাঠ পাড়া এলাকার আলীর ছেলে। জেলা লিগ্যাল এইড অফিসের জারিকারক আব্দুল্লাহ আল মামুনের অভিযোগের প্রেক্ষিতে সবুজকে আটক করে যশোর কোতয়ালী থানা পুলিশ।
আব্দুল্লাহ আল মামুনের সাথে কথা বললে তিনি জানান আমি গত ১৯ জুলাই যশোর মাগুরা সড়কের গ্রিন সিটিতে যায়। সেখান থেকে ফেরার পথে মটর সাইকেল পথরোধ করে সবুজ সহ তার সহযোগিরা। সে সময় বলে আপনার সাথে যে মেয়ে ছিল সে কে, সাথে সাথে আমার মটরসাইকেলের চাবি নিয়ে নেয়, আমাবে বিভিন্ন রকম ভয় ভিতি দেখিয়ে আমার হেলমেট পড়ে অস্ত্র ধরে আমাকে বাইকে উঠায়। পেছনে বসে আরো একজন। অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে আমার মটরসাইকেল মোবাইল মানিব্যাগ সব ছিনিয়ে নিয়ে যায়। পরবর্তীতে মটর সাইকেল করে শহরে ঘুরিয়ে ইসলামী ব্যাংকের বুথে নিয়ে অণুমান রাত ৮টা ৯ মিনিটে প্রথমে ১৫ হাজার টাকা পরে ১০হাজার টাকা তুলে নিয়ে যায়।
এর আগে গত ১৮ জুলাই কাজিপাড়া আমতলা মোড় থেকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক মুরব্বিকে তুলে নিয়ে রাজারহাট ইসলামীক ব্যাংকের বুথ থেকে২৫ হাজার টাকা তুলে নেয় চক্রটি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই ব্যক্তি বলেন, আমি সবাইকে চিনি তারা প্রভাবশালী দলের পদধারী নেতা। প্রাণের ভয়ে মুখ খুলতে পারছি না।
এ ব্যাপারে মামলার আইও যশোর কোতয়ালী থানার এস আই অমিত কুমার বলেন মামলার প্রধান আসামী সবুজকে গ্রিন সিটি রেস্টুরেন্ট থেকে আটক করা হয়। তাকে কোর্টে সোপার্দ করা হয়েছে। অজ্ঞাতনামা বাকী আসামীদের খুব দ্রুতই আটক করা হবে।