হিরো আলমের ওপর হামলার ঘটনায় জড়িত ১৪ জন গ্রেফতার ডিবি অতিরিক্ত কমিশনার

ঢাকা অফিস: ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলমের ওপর হামলার ঘটনায় জড়িত ১৪ জনকে গ্রেফতার করেছে,ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) অতিরিক্ত কমিশনার হারুন অর রশিদ রোববার (২৩ জুলাই) সন্ধ্যায় এ কথা জানান তিনি। নিজের ওপর হামলায় জড়িত সঠিক আসামি গ্রেফতার হলো কিনা, তা দেখতে রোববার (২৩ জুলাই) সন্ধ্যায় রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিবি কার্যালয়ে যান হিরো আলম।

পরে সাংবাদিকদের হারুন অর রশিদ বলেন, হিরো আলমের ওপর হামলার ঘটনায় জড়িত ১৪ জনকে গ্রেফতার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ। ভিডিও ফুটেজ দেখে ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে।
হামলাকারীরা কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে জড়িত কিনা তা প্রাথমিকভাবে জানাতে পারেননি তিনি।
হারুন অর রশিদ বলেন, আগামীতে আইনবিরোধী কাজ করলে কেউই ছাড় পাবে না।
এদিকে হামলাকারীদের সবাইকে গ্রেফতার করায় গোয়েন্দা পুলিশকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন হিরো আলম। ডিবি টিমের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান তিনি।
ঢাকা-১৭ আসনে উপনির্বাচনের দিন গত ১৭ জুলাই বিকেল সাড়ে ৩টায় বনানী বিদ্যানিকেতন স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্রের বাইরে একদল লোক হিরো আলমকে মারধর করেন। এ সময় মারধর থেকে বাঁচতে তাকে দৌড়ে পালিয়ে যেতে দেখা গেছে। পরে তিনি রামপুরার বেটার লাইফ হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে বাসায় ফেরেন।
এ ঘটনায় অজ্ঞাত ১৫ থেকে ২০ জনকে আসামি করে বনানী থানায় মামলা করেন তার ব্যক্তিগত সহকারী মো. সুজন রহমান শুভ।
এর আগে গত ২০ জুলাই হামলাকীরদের শনাক্ত করতে ডিবি কার্যালয়ে গিয়েছিলেন হিরো আলম।
এদিকে ঢাকা- ১৭ আসনের উপনির্বাচনের ভোট বাতিল চেয়ে নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) চিঠি দিয়েছেন হিরো আলম।
রোববার (২৩ জুলাই) দুপুরে বিভিন্ন গণমাধ্যমের শিরোনাম ও চুম্বক অংশ সংযুক্ত করে ইসি বরাবার এ চিঠি পাঠানো হয়।
নির্বাচন বাতিল ও পুনঃনির্বাচনের দাবি জানিয়ে চিঠিতে বলা হয়, ‘গত সোমবার (১৭ জুলাই) অনুষ্ঠিত ঢাকা-১৭ সংসদীয় আসনের উপনির্বাচনে আমি আরশাফুল হোসেন আলম (হিরো আলম) নির্বাচনে একজন স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে একতারা প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করি। নির্বাচনের দিন ইমেইলের মাধ্যমে আপনাকে অবহিত করেছিলাম যে, ভোটগ্রহণ শুরুর ১ ঘণ্টার মধ্যে আমার তালিকাভুক্ত মনোনীত প্রায় ৮৮ জন এজেন্টকে ১৯টি ভোটকেন্দ্র থেকে বের করে দিয়ে ব্যাপক জাল ভোট দেয়া হয়েছে। এ ছাড়া বনানী বিদ্যা নিকেতন ভোটকেন্দ্র পরিদর্শনে গেলে সরকার দলীয় ক্যাডাররা আমার ওপর শারীরিকভাবে হামলা চালায়। এ ঘটনা দেশ ও বিদেশের কোটি কোটি মানুষ সংবাদ মাধ্যমে দেখেছে।
ওই ঘটনার পর বিভিন্ন কেন্দ্র থেকে আমার মনোনীত এজেন্টদের জোরপূর্বক বের করে ভোট গণনা করা হয়েছে, যা সম্পূর্ণ নির্বাচনবিধি পরিপন্থী। আমার ওপরে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হামলা ও ব্যাপক জাল ভোট ও ভোট গণনার অনিয়ম নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। তাই আমি মনে করি, এই নির্বাচন বিধিসম্মত হয়নি।
চিঠিতে হিরো আলম এই ‘প্রহসনের নির্বাচনকে’ বাতিল ঘোষণা করে পুনঃনির্বাচনের দাবি জানিয়ে বলেন, ‘আমার প্রতিপক্ষকে নির্বাচন বিধি লঙ্ঘনের দায়ে নির্বাচনের ফলাফল বাতিল করে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানাচ্ছি।