যশোরে বিয়ের প্রলোভন দিয়ে শারীরিক সম্পর্কের ঘটনায় মামলা লম্পট গ্রেফতার

বিশেষ প্রতিনিধি
বিয়ের প্রলোভন দিয়ে মিল্লাত হুসাইন (২৬) নামে এক লম্পট কলেজ পড়ু–য়া শিক্ষার্থী (২৩) কে তিন বছর যাবত শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনের এক পর্যায় তিন সপ্তার অন্তসত্বা হয়ে পড়ার পর কৌশলে ঔষধ সেবন করিয়ে  বিয়ের কথা বললে  প্রাণ নাশের হুমকী দিচ্ছে। এ ঘটনায় কোতয়ালি থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা হলে পুলিশ লম্পট মিল্লাহ হুসাইনকে গ্রেফতার করেছে। সে যশোর সদর উপজেলার হামিদপুর গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে। বুধবার ১৯ জুলাই রাতে কোতয়ালি থানায় মামলাটি করেন, প্রতারণার শিকার কলেজ পড়–য়া শিক্ষার্থী।
মামলায় তিনি উল্লেখ করেন, তিনি যশোরের একটি সরকারি কলেজে অনার্স দ্বিতীয় বর্ষে লেখাপড়া করেন। বাদিসহ কয়েকজন বান্ধবী ইতিপূর্বে বকচর হুশতলার মোড় তিনতলা বাসায় ভাড়াটিয়া  হিসেবে বসবাস করতেন। মিল্লাহ হুসাইন বাসার পাশে এমআর মোটর নামক ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজার হিসেবে নিযুক্ত আছে। বাদির ভাড়া বাসা ও আসামীর কর্মস্থল পাশাপাশি হওয়ায় বিগ অনুমান  তিন বছর পূর্বে আসামীর সাথে বাদির পরিচয় ও সু-সর্ম্পকের সৃষ্টি হয়। এক পর্যায়ে আসামীর সাথে বাদির প্রেমের সম্পর্কের সৃষ্টি হয়। আসামীর সাথে বাদির প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠারপর মিল্লাহ হুসাইন বাদিকে নিজের বাড়িতে নিয়ে তার পিতা মাতার সাথে পরিচয় করিয়ে দেয় এবং বিয়ে করার প্রতিশ্রুতি দেয়। অতঃপর ঘটনার বিষয় বাদি তার পরিবারের সদস্যকে জানানোর কথা বললে আসামী নিজে প্রতিষ্ঠিত ও বাদির লেখাপড়া শেষ হওয়ার বাদির পরিবারের সদস্যদের জানিয়ে বিয়ে করবে বলে আশ^াস প্রদান করে বাদিকে। বাদি আসামরি কথায় সরল মনে বিশ^াস করার সুযোগে বিগত ৩ বছর ধরে বাদিকে একইভাবে বিয়ের কথা বলে বাদির মেসে,নিজের বাড়িসহ বিভিন্ন জায়গায় নিয়ে বাদির সাথে শারীরিক সম্পর্ক করে। সর্বশেষ গত ২ এপ্রিল বেলা ৩ টায় আসামী বাদিকে হামিদপুর গ্রামস্থ নিজের বাড়ির শয়ন কক্ষে নিয়ে পূর্বের ন্যায় বিয়ের কথা বলে ধর্ষন করে। আসামীর ধর্ষনের ফলে বাদি ৩ সপ্তার অন্তসত্বা হয়ে পড়লে ঘটনার বিষয় বাদি আসামীকে অবহিত করত বিয়ের কথা বললে সুচতুর আসামী বাদিকে ভূল বুঝিয়ে সে বাদির পরিবারের সদস্যদের সাথে আলোচনার মাধ্যমে বিয়ে করবে মর্মে পূর্বের ন্যায় আশ^াস দেয় এমনটি বাদির ও বাদির পেটে থাকা সন্তানের সুস্থ্রতার কথা নিজের ক্রয়কৃত ঔষধ বাদিকে সেবন করিয়ে দেয়। আসামীর দেয়া ঔষধ সেবনের ফলে গত ২৫ এপ্রিল বাদির পেটের সন্তান নষ্ট হয়ে যায়। বাদির পেটের সন্তান নষ্ট হওয়ার পর আসামীকে বিয়ের কথা বললে আসামী বাদিকে বিয়ে করবে না বলে জানিয়ে  দিয়ে হুমকী স্বরুপ বলতে থাকে ঘটনার বিষয় নিয়ে বাড়াবাড়ি করলে বা তাকে বিয়ে করার জন্য চাপসৃষ্টি করলে বাদিকে খুন করে গুম  করবে। সর্বশেষ গত ১৭ জুলাই বিকেল ৪ টায় আসামী তার মোবাইল নম্বার দিয়ে বাদির মোবাইল নম্বারে ফোন করে পূর্বের ন্যায় হুমকী প্রদান করে। বাদি উপায়ূন্তর না পেরে পরিবারের সদস্যদের সাথে আলাপ আলোচনা করে কোতয়ালি থানায় মামলা করলে পুলিশ লম্পট  মিল্লাত হুসাইনকে বুধবার গ্রেফতার করে। বৃহস্পতিবার ২০ জুলাই দুপুরে আদালতে সোপর্দ করে। বাদির ডাক্তারী পরীক্ষা বৃহস্পতিবার সম্পন্ন হয়েছে।