যৌন নিপীড়নের দায়ে গ্রেপ্তার হওয়া ঢাবির রসায়ন বিভাগের শিক্ষক ড. এরশাদ হালিমকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কারের দাবিতে আল্টিমেটাম দিয়েছেন বিভাগের শিক্ষার্থীরা।
শনিবার (১৫ নভেম্বর) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের কার্যালয় ঘেরাওয়ের পর তারা এই কর্মসূচি দেন।
এর আগে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের সামনে ওই শিক্ষকের শাস্তি নিশ্চিত ও সিন্ডিকেট ডেকে স্থায়ী বহিষ্কারের দাবি জানিয়ে মানববন্ধন করেন শিক্ষার্থীরা।
একইসঙ্গে শিক্ষার্থীরা অন্য শিক্ষক দ্বারা হয়রানির শিকার হবেন কিনা-এসব বিষয়ে নিশ্চয়তা চান।
পরে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংহতি জানান ডাকসুর সাধারণ সম্পাদক এস এম ফরহাদ, সাহিত্য ও সংস্কৃতিবিষয়ক সম্পাদক মোসাদ্দেক বিল্লাহ এবং সদস্য সর্বমিত্র চাকমা উপস্থিত ছিলেন।
মানববন্ধনের পর শিক্ষার্থীরা মিছিল নিয়ে উপাচার্যের কার্যালয়ের সামনে যান এবং অবস্থান পালন করেন। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সাইফুদ্দীন আহমেদ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলেন।
তিনি বলেন, ইতোমধ্যে একটি কমিটি করা হয়েছে। কমিটির কাছে সব প্রমাণ দেওয়া হবে। তারপর তদন্ত কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে রিপোর্ট সিন্ডিকেটে তোলা হবে। সে ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
কমিটিকে কতদিন সময় দেওয়া হয়েছে- জানতে চাইলে প্রক্টর বলেন, দ্রুততম সময়ের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
প্রক্টর বলেন, ইতোমধ্যে তিনি বহিষ্কার অবস্থায় আছেন। আমরা নির্বাহী ক্ষমতায় তাকে সাময়িক বহিষ্কার করেছি। তদন্ত কমিটির রিপোর্ট আসা পর্যন্ত তিনি বহিষ্কার থাকবেন।
অন্যদিকে এরশাদ হালিমের কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদ জানিয়ে ন্যায়বিচার নিশ্চিতের আগ পর্যন্ত ১৬ নভেম্বর থেকে ক্লাস-পরীক্ষা, ল্যাব ও ইনকোর্স বর্জন করেছেন রসায়ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা।