আদালতে ১৪৪ ধারার মামলা বাওড় ইজারা নিয়ে বিপাকে পড়েছেন আলমগীর মোড়ল

যশোর প্রতিনিধি 
কেশবপুরের গড়ভাঙ্গা মৌজার বিল খড়িলার বাওড় ইজারা নিয়ে চরম বিপাকে পড়েছেন মণিরামপুরের বাটবিলা গ্রামের আলমাগীর মোড়ল। ঘেরের বেড়িবাধ নির্মানে বাধা ও ঘের দখলে মরিয়া হয়ে উঠেছে হাসাডাঙ্গা গ্রামের তলাম হোসেন মিন্টু ও তার লোকজন। এরমধ্যে ঘেরের কাজে বাধা দানের অভিযোগে তমলা হোসেনসহ অপরিচিত ২০/২৫ জনকে বিবাদী করে আদালতে মামলা করেছেন আমলগীর হোসেন। আদালতে ১৪৪ ধারা জারি করে ঘনটাস্থলে শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখার আদেশ দিলেও তা বিবাদীদের কাছে পৌঁছানি মণিরামপুর থানা পুলিশ।
মামলার অভিযোগে জানা গেছে, কেশবপুরের গড়ভাঙ্গা মৌজার বিল খড়িলার বাওড় পরিচালিত হয়ে জমির মালিকদের একটি সংগঠনের মাধ্যমে। সংগঠনটি নিলামের মাধ্যমে ইজারা দিয়ে থাকেন বাওড়টি। চলতি বছর এ বাওড়ের ইজারার মেয়াদ শেষ হওয়ায় বাওড়ের জমির মালিকদের সংগঠন প্রকাশ্য নিলামের সিদ্ধান্ত গ্রহন করেন। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী নিলাম অনুষ্ঠিত হলে সর্বচ্চো দর দাতা আলমগীর মোড়ল বাওড়ের ইজারা পান। ইজারা অনুযায়ী চলতি বছরের ১৪ এপ্রিল জমির মালিকদের সংগঠন একটি চুক্তিপত্র করে আলমগীর মোড়লকে বাওড় হস্থান্তর করেন। আলমগীর মোড়ল বাওড়ের বুঝে পেয়ে মাছ চাষের জন্য প্রস্তুতি গ্রহন করে। এতে বাধ সাজেন সাবেক লীজ গ্রহিতা তমলা হোসেন মিন্টু। কোন ভাবে বাওড়ে নামতে দেবেনা বলে ষড়যন্ত্র শুরু করেন তমাল। এরই ধারাবাকিতায় গত ৮ জুলই বাওড়ের শ্রমিকদের কাজ বন্দ করে খুন জখমের হুমকি দেয় তাড়িয়ে দেন তমালের লোকজন। এরপর তমাল ও তার লোকজন বাওড়ের সীমান ভেঙ্গে ক্ষতি করেন। সংবাদ পেয়ে আলমগীর মোড়ল জমির মালিকসহ স্থানীয় গন্যমান্য লোকজন নিয়ে ঘটনাস্থলে গেলে তলাম ও তার লোকজন চলে যান। তমাল ও তার লোজনকেন হুমকির কারনে যে কোন সময় এলামার শান্তি শৃঙ্খলা ভঙ্গের আশংকায় তিনি মঙ্গলবার নির্বাহী আদালতে এ মামলা করেছেন। আদালত শান্তি শৃঙ্খলা বজার রাখার শর্তে ১৪৪ ধারা জারি করে উভয় পক্ষকে নোটিশ জরির আদেশ দেয় আদালত। মণিমরাপুর থানায় আদালতের এ আদেশ পৌঁছালের দ্ইু দিন অতিবাহিত হলেও নোটিশ দেয়া হয়নি বলে জানিয়েছেন মামলার বাদী আলমগীর মোড়ল। তিনি অবিলম্বে নোটিশ জারি করে শান্তি শৃঙ্খলা ঠিক রাখার দাবি জানিয়েছেন পুলিশ প্রশাসনের প্রতি। #