যশোরে ইজিবাইক ছিনতাইয়ের জন্য খুন করা হয় চালক বুলবুলকে

যশোর প্রতিনিধি 
যশোরে ইজিবাইক ছিনতাইয়ের জন্য খুন করা হয় যশোর সদর উপজেলার রাজারহাট এলাকার চালক বুলবুলকে। এজন্য এক মাস আগে থেকে তার সাথে বন্ধুত্ব স্থাপন করে ঘাতকরা। এরপর ফোন করে ডেকে নিয়ে হত্যার ইজিবাইকটি নিয়ে যায় ৭ ঘাতক। তবে শেষ রক্ষা হয়নি ঘাতকদের। মোবাইল কল লিস্টের সূত্র ধরে সকলকে গ্রেফতার ও ইজিবাইকটি উদ্ধার করেছে ডিবি পুলিশ। আজ বুধবার দুপুরে যশোর পুলিশ সুপার কার্যালয়ে এক ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বেলাল হোছাইন। গ্রেফতারকৃতরা হলো, সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার পুরাখালী গ্রামের সাত্তার আলী গাজীর ছেলে এসার আলী (৩১), নৈকাটি গ্রামের নজরুল গাজীর ছেলে আকবর গাজী (২৮) ও ইব্রাহিম গাজী (২৪), নড়াইলের কালনা উপজেলার সিলিমপুর গ্রামের মৃত আব্দুর রহমানের ছেলে মাহমুদ ওরফে মামুন (৩৮), যশোর শহরের শংকরপুর মেডিকেল কলেজপাড়া এলাকার শহর আলীর ছেলে শুকুর আলী (২০), শংকরপুর গোলপাতা মসজিদ পশ্চিমপাড়ার মৃত মাকসাদ আলীর ছেলের জুয়েল  (৩৮) ও শংকরপুর জমাদ্দারপাড়া এলাকার নুর ইসলামের ছেলে হৃদয় (২৩)।
ব্রিফিংয়ে জানানো হয়, গত ৮ জুলাই সন্ধ্যা ৬টার দিকে যশোর শহরের বকচর করিম পাম্পের সামনে থেকে ইজিবাইক চালক বুলবুল হোসেন নিখোঁজ হন। রাতে বাড়ি না ফেরায় পরিবারের সদস্যরা তাকে অনেক স্থানে খোঁজ করে। ব্যর্থ হয়ে পরের দিন রোববার তার ভাই ফরহাদ কোতোয়ালি থানায় একটি জিডি করেন। এরপর ১০ জুলাই সন্ধ্যার আগে সদর উপজেলার নতুনহাট এলাকার একটি পাট ক্ষেত থেকে অজ্ঞাত একজনের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। ওই লাশটি ইজিবাইক চালক বুলবুলের বলে সনাক্ত করে তার ভাই ফরহাদ। এরপর বুলবুলের মোবাইল ফোনের কললিস্ট ধরে তদন্ত শুরু করে ডিবি পুলিশ এবং হত্যার সাথে জড়িত এসার আলী, মাহমুদ ওরফে মামুন, শুকুর আলী, জুয়েল, হৃদয়, আকবার গাজী ও ইব্রাহিম গাজীকে গ্রেফতার করে।
তিনি আরো জানান, ঘাতকরা বুলবুলকে ডেকে এনে তার ইজিবাইকে সারা শহর ঘুরে বেড়ায়। একপর্যায় কোমল পানীয়ের সাথে চেতনানাশক ওষুধ সেবন করায়। এরপর গামছা দিয়ে শ্বাসরোধে হত্যার পর বুলবুলের লাশ পাট ক্ষেতে ফেলে ইজিবাইক নিয়ে যায় এবং সেটি সাতক্ষীরায় বিক্রি করে। ডিবি পুলিশের চৌকস টিম ইজিবাইকটিও উদ্ধার করেছে। গ্রেফতারকৃতদের এ মামলায় আদালতে সোপর্দ করা হবে বলে জানান।#