যশোর প্রতিনিধি
মালদ্বীপে থেকে স্ত্রীকে আত্মহত্যা প্ররোচনা দেওয়ায় গৃহবধূ মিনা খাতুন (২২) গলায় ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করায় কোতয়ালি মডেল থানায় আত্মহত্যা প্ররোচনা অভিযোগে মামলা হয়েছে। মামলায় আসামী করা হয়েছে,যশোর সদর উপজেলার নারাঙ্গালী গ্রামের আমিনুর রহমান ফকিরের ছেলে প্রবাসী আলামিন (৩০)। ঘটনাটি যশোর সদর উপজেলার করিচিয়া মধ্যপাড়া গ্রামের ইফাজ আলী মোল্যার বাড়ির পাশের্^।
গৃহবধূ মিনা খাতুনের পিতা ইফাজ আলী মোল্যা বাদি হয়ে শুক্রবার ২ জুলাই রাতে কোতয়ালি মডেল থানায় প্রবাসী জামাতা আলামিনের বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে বলেছেন,১৭ মাস পূর্বে তার মেয়ে মিনা খাতুনের সাথে সামাজিকভাবে বিয়ে হয়। বিয়ের পর আলামিন মিনা খাতুনকে বলে তুই কালো। তার বউ হওয়ার যোগ্য নয়। বিভিন্ন ছুতো নিয়ে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন দিতো মিনা খাতুনকে। নির্যাতন সহ্য করে মিনা খাতুন ঘর সংসার করছিল। সম্প্রতি আলামিন তার স্ত্রী মিনা খাতুনকে বাড়িতে রেখে বিদেশ চলে যায়। বিদেশ যাওয়ার আগে বলে যায় তার বাবার কাছে ৩লাখ টাকা দিবি। এই বলে মালদ্বীপে পাড়ি জমায়। বিদেশ যাওয়ার পর আলামিন তার মোবাইল থেকে তার বাবা মাকে বলে বৌমাকে বাড়ি হতে তাড়িয়ে দেও। মিনা খাতুনের মোবাইল নাম্বারে বলে গলায় দঁড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করলে তার শান্তি হয়। মোবাইল ফোনে হুমকী ধামকী দেয়। ২ মাস পূর্বে মিনা খাতুন শিশু বাচ্চা নিয়ে বাপের বাড়িতে চলে আসে। তারপরও আলামিন মোবাইল ফোনে বিভিন্ন হুমকী ধামকী দেয় টাকার জন্য। ১ জুলাই রাত ৮ টায় আলামিন মোবাইল ফোনে তার স্ত্রীকে হুমকী দিয়ে বলে গলায় দঁড়ি দিয়ে মরতে পারিস না। তোর মৃত্যুর খবর শুনে কাফনের কাপড় পাঠাবো। এর পর ওই রাতে মিনা খাতুন বাড়ির পাশের্^ জাম গাছে পরনের ওড়না পেঁচিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে। আত্মহত্যা করার পর আলামিন মোবাইল ফোনে তার বাবা মাকে বলে মিনা খাতুন কোথায় দেখতে বলে। ইফাজ আলী মোল্যা ঘরে দেখেন মেয়ে নেই। বাড়ির অদূরে একটি জাম গাছে মিনা খাতুন ঝুলে আছে। রাত সাড়ে ১১ টায় গাছ থেকে লাশ নামিয়ে নেয়। পরে এ ব্যাপারে কোতয়ালি মডেল থানায় অপমৃত্যু মামলা হয়েংছে৷