নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট ও কার্ডিওপালমোনারি রিসাসিটেশন (সিপিআর) বিষয়ক সচেতনতা উপর তৃতীয় ব্যাচের তিনদিনের কর্মশালা শেষ হয়েছে।
যশোর মেডিকেল কলেজের অ্যানেস্থেসিয়া বিভাগের উদ্যোগে সোমবার দুপুরে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের আইসিইউ ইউনিটের সভাকক্ষে প্রশিক্ষণ শেষে অংশ গ্রহণ কারীদের মাঝে সনদপত্র দেওয়া হয়েছে।
যশোর মেডিকেল কলেজের অ্যানেস্থেসিয়া বিভাগের প্রধান ও কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ প্রফেসার ডাক্তার এসএম আহসান হাবিবের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন জেলা বিএমএর সভাপতি ডাক্তার একেএম কামরুল ইসলাম বেনু। বিশেষ অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডাক্তার হারুন অর রশিদ, মেডিকেল কলেজের মেডিসিন বিভাগের প্রধান প্রফেসর ডাক্তার গৌতম কুমার আচার্য্য, যশোর মেডিকেল কলেজের সহযোগী অধ্যাপক ডাক্তার সেলিম রেজা। এ সময় অন্যান্য অতিথিদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের অ্যানেস্থেসিয়া বিভাগের ডাক্তার আনিছুর রহমান, ডাক্তার জাফর ইকবাল। জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাক্তার পার্থ প্রতিম চক্রবর্তী প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, হার্ট মানুষের অন্যতম একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। যেকোন সময় আমরা যে কেউ এই রোগে আক্রান্ত হতে পারে। এই রোগটি কখন কীভাবে হবে সেটি আমরা কেউ জানি না। তাই এই রোগের বিষয়ে পূর্ব সর্তকতা অবলম্বন করাটা অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। ডাক্তারের কাছে পৌঁছানোর আগে প্রাথমিক চিকিৎসা নেওয়ার এই সিপিআর পদ্ধতি আমাদের সবাইকে আরো বেশি সচেতন হতে সহায়তা করবে। বক্তারা আরও বলেন, কার্ডিয়াক অ্যারেস্টে আক্রান্ত ব্যক্তিকে মৃত্যুর হাত থেকে বাঁচানোর অন্যতম মাধ্যম হলো সিপিআর। কোন ধরনের ডাক্তারি বিদ্যা ছাড়াই যে কোনো মানুষের পক্ষে সিপিআর পদ্ধতি শেখা সম্ভব। সারাবিশ্বের অসখ্য মানুষ এ রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেন। একটু সচেতন হলেই সিপিআরের মাধ্যমে কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট আক্রান্ত ব্যক্তিকে বাঁচানো সম্ভব। তাই সবার উচিত এই বিষয়টি নিয়ে নূন্যতম জ্ঞান রাখা। কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট ও কার্ডিওপালমোনারি রিসাসিটেশন (সিপিআর) বিষয়ক কর্মশালা সরকারি-বেসরকারি চিকিৎসক, সাংবাদিক ও যশোর মেডিকেল কলেজ, আদ্ব-দ্বীন মেডিকেল কলেজ এবং আর্মি মেডিকেল কলেজের মোট ৩০জন ট্রেনিংএ অংশ গ্রহণ করেন। সমপনি অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন অ্যানেস্থেসিয়া বিভাগের ডাক্তার আশরাফ হোসেন। ##