যশোরে মাদ্রাসা ছাত্রী দু’দফা অপহরনের অভিযোগে ॥ আদালতে নির্দেশে মামলা

বিশেষ প্রতিনিধি
প্রকাশ্যে শহরতলী পালবাড়ীদ গাজীর ঘাট রোডস্থ দারুল উলুম মহিলা কওমী মাদ্রাসা শিক্ষার্থী তাসমি আফরিন (১৫) অপহরনের অভিযোগে আদালতে নিদের্শে কোতয়ালি থানায় মামলা হয়েছে। গত ৩০ জুন শুক্রবার রাতে আদালতের নিদের্শে সদর উপজেলার নওদাগ্রামের মৃত আফসার আলীর ছেলে তারেক হোসেনের দায়ের করা এজাহারটি কোতয়ালি থানা কর্তৃপক্ষ মামলা হিসেবে নথিভূক্ত করেন। মামলায় আসামী করেন, সদর উপজেলার নওদাগ্রামের তবিবরের ছেলে রাফি, রাফির পিতা তবিবর ও মাতা ফোটকি বেগম ও মাদ্রাসার সহকারী শিক্ষক  সাইফুল ইসলামসহ অজ্ঞাতনামা ৪/৫জন।
মামলায় বাদি উল্লেখ করেন, আসামী রফির পিতা তবিবর পুলিশ বিভাগে চাকুরী করায় রাফি এলাকায় ঔধ্যত্বপূর্নভাবে ঘোরাফেরা করে।এলাকার রাস্তার মোড়ে সর্বসময় নেশাগ্রস্থ অবস্থায় থেকে স্কুল,কলেজ পড়–য়া মেয়েদের উত্যক্ত করে। বাদির মেয়ে তাসমি আফরিন পালবাড়ী গাজীরঘাট রোড দারুল উলুম মহিলা কওমী মাদ্রাসায় হেদায়া জামাতের ১০ম শ্রেনী আবাসিক ছাত্রী। বাদি ও আসামীগন একই এলাকার বাড়ি হওয়ায় রাফি প্রায়ই বাদির মেয়েকে উত্যক্ত করতো। বিভিন্ন প্রলোভন দেখাতো,উঠিয়ে নিয়ে যাওয়ার হুমকী ধামকী দিতো এবংভয়ভীতি প্রদর্শন করতো। এ ব্যাপারে রাফির পিতা মাতা ও শিক্ষক সাইফুল ইসলামকে একাধিকবার বাদি মৌখিকভাবে অভিযোগ করলেও তারা রাফিকে কোন প্রকার শাসন করেনি এব কোন প্রকার ব্যবস্থা গ্রহন করেনি। এমতাবস্থায় বিগত ২০ এপ্রিল সন্ধ্যার পর রাফি তার পিতা মাতার প্ররোচনায় বাদির মেয়েকে ফুসলিয়ে অপহরণ করে নিয়ে যায়। সে সময় বাদি বিভিন্ন জায়গায় খোঁজ করে না পেয়ে কোতয়ালি থানায় অভিযোগ করলে থানা কর্তৃপক্ষ ২১ এপ্রিল বাদির মেয়েকে উক্ত আসামীর কবল হতে উদ্ধার করে বাদির জিম্মায় প্রদান করলেও অজানা কারনে রাফি ও তার পিতা ও মাতাকে সে সময় গ্রেফতার করে নাই বা কোন ব্যবস্থা গ্রহন করে নেই। এমনকি এ ব্যাপারে কোন মামলাও হয়নি। এরই ধারাবাহিকায় গত ২২ জুন দুপুর  আড়াইটার সময় দারুল উলুম কওমী মাদ্রাসার ছুটির  প্রাক্কালে বাদির মেয়ে তাসমি আফরিনকে রাফিক তার পিতা ও মাতার সহযোগীতায় ফুসলিয়ে মোটর সাইকেল যোগে অপহরণ করে নিয়ে যায়। বাদির ব্যবসা প্রতিষ্ঠান উক্ত মাদ্রাসার সামনে রাস্তার বিপরীত পাশের্^ হওয়ায় বাদি ঘটনা দেখে এবং বুঝতে পেরে সঙ্গে সঙ্গে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষকে জানায় কিন্তু মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ কোন ব্যবস্থা গ্রহন করেননি। এ ব্যাপারে কোতয়ালি থানায় মামলা করতে গেলে থানা কর্তৃপক্ষ কোর্টে মামরঅ করার  পরামর্শ দেওয়ায় বাদি তারেক হোসেন গত ২৬ জুন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ যশোর এর ভারপ্রাপ্ত বিচারক  ( জেলা ও দায়রা জজ) মাইনুল হকের আদালতে পিটিশন মামলা নং ১১৪/২৩ দায়ের করেন। আদালতের বিজ্ঞ বিচারকের নির্দেশে থানা কর্তৃপক্ষ মামলা হিসেবে নথিভূক্ত করেন।#