যশোর অফিস: যশোরের জেলরোডের আলোচিত মাতৃসেবা ক্লিনিকে অপচিকিৎসায় এক রোগীর মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় বুধবার বিকেলে ক্লিনিক ঘেরাও করে বিক্ষোভ করেছেন ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা।
অভিযোগ করা হয়েছে, ক্লিনিকের গাইনী চিকিৎসক ডা.সোনিয়া শারমিনের অদক্ষতা, অবহেলা ও খামখেয়ালিপনার কারণে রোগী ফরিদা ইসলামের মৃত্যু হয়েছে। ফরিদা ইসলাম (৩৮) যশোর সদর উপজেলার এড়েন্দা গ্রামের আয়নাল হকের স্ত্রী।
স্বজনদের বরাতে জানা যায়, জরায়ু সংক্রান্ত সমস্যায় ভুগছিলেন ফরিদা ইসলাম। চিকিৎসার জন্য তিনি ডা.সোনিয়া শারমিনের শরণাপন্ন হন। চিকিৎসক তাকে অপারেশনের পরামর্শ দেন এবং প্রায় ১২ দিন আগে মাতৃসেবা ক্লিনিকে অপারেশনটি সম্পন্ন হয়।
অপারেশনের পর বাড়িতে ফিরলেও ফরিদার শারীরিক অবস্থা দ্রুত অবনতি ঘটে। পুনরায় তাকে একই ক্লিনিকে ভর্তি করা হলে ডা. সোনিয়া জানান, তিনি আর চিকিৎসা দিতে পারবেন না। পরে ফরিদাকে যশোর জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়। অবস্থার আরও অবনতি হলে তাকে ঢাকায় স্থানান্তর করা হয়। বুধবার সকালে ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
স্বজনেরা দাবি করেন, ঢাকার চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন ফরিদার ভুল অপারেশন করা হয়েছিল। তাছাড়া অপারেশনের পরও ভুল চিকিৎসা দেওয়া হয়। তারা আরও জানান, ফরিদার জরায়ুতে ক্যান্সার ছিল এবং অপচিকিৎসার কারণে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ে মৃত্যুর কারণ হয়।
রোগীর মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে স্বজনেরা বিকেলে মাতৃসেবা ক্লিনিক ঘেরাও করে বিক্ষোভ করেন এবং সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।
এ বিষয়ে মাতৃসেবা ক্লিনিকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মনিরুল ইসলাম বলেন, ফরিদা আমাদের ক্লিনিকের রোগী ছিলেন। ডা. সোনিয়া অপারেশন করেছেন। এখন শুনেছি তিনি মারা গেছেন। বিষয়টি আমরা খতিয়ে দেখছি।
অন্যদিকে ডা.সোনিয়া শারমিন অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, অপারেশনের আগে রোগীকে বায়োপসি পরীক্ষার পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল, কিন্তু তারা রাজি হননি। তাদের অনুরোধেই অপারেশন করা হয়েছে। আমার কোনো ভুল ছিল না। এসব অভিযোগ ভিত্তিহীন।