যশোর প্রতিনিধি: যশোরে আইন শৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভা অনুষ্ঠিত। রোববার সকালে কালেক্টরেটের অমিত্রাক্ষর সভাকক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। জেলা প্রশাসক মো. তমিজুল ইসলাম খানের সভাপতিত্বে সভায় মাদক,চোরাচলানসহ প্রতিরোধে টাস্কফোর্সের অভিযানএবং বাজার মনিটারিং জোরদারের আহ্বান জানানো হয় এবং যশোর পৌরসভার বিভিন্ন স্থানে স্থাপিত ২৩০ সিসি ক্যামেরা সচল ও মেরামত এবং প্রযোজনে নতুন সিসি ক্যামেরা স্থাপন এবং একই সাথে বেপরোয়া সড়কে দুর্ঘটনা প্রতিরোধে সচেতনতা মূলক প্রচারণা জোরদার করা বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়। রোববার দুপুরে জেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভায় এই তথ্য জানান কমিটির সভাপতি ও জেলা প্রশাসক তমিজুল ইসলাম খান।
সভায় জানানো হয়, প্রতিনিয়ত মাদক সংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে নানা অপরাধ সংঘঠিত হচ্ছে সিমান্তবর্তী জেলা যশোরে। তাই জেলাটিকে মাদক নিমূল করতে জেলা প্রশাসন নানাবিধি কর্মসূচি হাতে নিচ্ছে। কর্মসূচির মধ্যে বিভিন্ন অফিসসহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মাদক বিরোধী প্রচারনা চালানো হবে। একই সাথে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতা অভিযান বেশি বেশি চালানোর বিষয়ে সিন্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। দুর্ঘটনা সচেতনার অভাবে ঈদযাত্রায় ১৬টি দুর্ঘটনায় ১৫ জন নিহত হয়েছে।এছাড়া দুই জন আহত হয়েছে। এসব ঘটনার মধ্যে একটি সাইকেল আরোহী আর বাকী ১৫টি মোটর সাইকেল দুর্ঘটনা। অসময়ে নিজেদের অসচেতনায় এসব তরুণ প্রজন্ম দুর্ঘটনায় জীবন হারাচ্ছে। তাই পরিবার থেকেই তরুণ প্রজন্মদের সচেতনা সৃষ্টি করতে হবে। এছাড়া গত এপ্রিল মাসে হত্যাকান্ড ঘটেছে ৫টি। এর আগের মাসে মার্চে ২টি হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটে। বিভিন্ন সময়ের চেয়ে হত্যাকান্ড বেশি ঘটলেও প্রশাসনের দাবি আইনশৃঙ্খলা স্বাভাবিক রয়েছে। এছাড়া গতমাসে ৩০৯টি বিভিন্ন মামলা হয়েছে। যা এর আগের মাস মার্চে ছিলো ৩৩২টি। জেলা প্রশাসক তমিজুল ইসলাম খানের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন পুলিশ সুপার প্রলয় কুমার জোয়ারদ্দার, অতিরিক্ত ম্যাজিস্ট্রেট এস এম শাহীন,বিজিবি যশোর ব্যাটেলিয়ানের অতিরিক্ত পরিচালক মেজর মো. সেলিমুদ্দোজা, যশোর আইনজীবি সমিতির সভাপতি মো. ইসসক, যশোর প্রেস ক্লাবের সভাপতি জাহিদ হাসান টুকুন, জেলা দুনীতি প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি মিজানুর রহমান ,রাইটস যশোরের নির্বাহী পরিচালক বিনয় কৃষ্ণ মল্লিক প্রমুখ।। সভায় সকল উপজেলার নিবাহী কর্মকর্তাও প্রতিনিধি ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
যশোর সভার দেয়া তথ্য মতে ২০১৮ সালে শহরের বিভিন্ন স্থানে ২৩০ সিসি ক্যামেরা স্থাপন করে। এ সব ক্যামেরা পুলিশ কন্টোলরুল নিয়ন্ত্রন করে। ফলে কতটি নষ্ট বা চালু আছে তার তথ্য তারা জানাতে পারিনি। যশোরে আইন শৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভা এ বিষয় কথা হয়েছে । দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হবে।#
