বেনাপোল কাস্টমসের ভাবমূর্তি নষ্টের অপচেষ্টা, আগের নিয়মেই চলছে আমদানি-রপ্তানি

Share

যশোর অফিস
বেনাপোল কাস্টমস হাউসের ভাবমূর্তি নষ্টের অপচেষ্টা চলছে তবে বন্দর দিয়ে আগের নিয়মেই পচনশীল পণ্য সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত এবং অন্যান্য সব ধরনের পণ্য রাত ১১টা পর্যন্ত আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম চলছে। ব্যবসায়ীদের সুবিধার্থে সোমবার (২৭ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ৭টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত পচনশীল কাঁচামাল বাদে সব ধরনের মালামাল নিরবিচ্ছিন্নভাবে আমদানি-রপ্তানি করা হবে বলে জানিয়েছেন বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ অ্যাসোসিয়েশনের সহ-সভাপতি কামাল উদ্দিন শিমুল।
তবে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, আগের নিয়মেই আমদানি-রপ্তানি চলছে। তারা বলেন, “কাস্টমসের পক্ষ থেকে কোনো নতুন নির্দেশনা দেওয়া হয়নি; পচনশীল পণ্য ছাড়া অন্যান্য সব পণ্য রাত ১১টা পর্যন্ত স্বাভাবিকভাবে আমদানি-রপ্তানি হচ্ছে।”
সহ-সভাপতি কামাল উদ্দিন শিমুল জানান, কাস্টমস কমিশনারের সঙ্গে মতবিনিময় সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সন্ধ্যা ৬টার পর ঝুঁকিপূর্ণ পণ্য আমদানির আশঙ্কায় পচনশীল পণ্য আনা বন্ধ রাখা হয়। তবে প্রয়োজন অনুযায়ী রাত ৮টা পর্যন্ত কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে কিছু পচনশীল পণ্য আমদানির অনুমতি দেওয়া হচ্ছে।
বেনাপোল আমদানি-রপ্তানিকারক সমিতির সিনিয়র সহ-সভাপতি আমিনুল হক বলেন,“ভারতীয় রপ্তানিকারকরা সকাল ১০টা থেকে ১১টার মধ্যে বাণিজ্য শুরু করেন বলেই বর্তমানে আমদানি-রপ্তানি কমে গেছে। তারা যদি সকাল সাড়ে ৭টায় কাজ শুরু করেন, তাহলে প্রতিদিন ৪০০ থেকে ৫০০ ট্রাক পণ্য আমদানি সম্ভব।”
বর্তমানে প্রতিদিন গড়ে ২৫০ ট্রাক পণ্য আমদানি হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, “ভারতীয় পক্ষের বিলম্বের কারণে ওপারে প্রায় ১,৫০০ ট্রাক পণ্যবোঝাই অবস্থায় আটকা রয়েছে। এসব ট্রাকে গার্মেন্টসসহ বিভিন্ন শিল্প-কারখানার কাঁচামাল রয়েছে। সময়মতো এসব পণ্য না এলে শিল্পখাতে বড় ক্ষতি হতে পারে।”
বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক এমদাদুল হক লতা বলেন, “বর্তমান কমিশনার খালিদ মোহাম্মদ আবু হোসেন একজন সৎ ও দক্ষ কর্মকর্তা। তার যোগদানের পর কাস্টমস হাউসে অনিয়ম প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে। তিনি কর্মকর্তাদের হয়রানি বন্ধে কঠোর নির্দেশ দিয়েছেন এবং বহিরাগত ১৪০ জন পিয়নকে কাস্টমস হাউস থেকে সরিয়ে দিয়েছেন। এ কারণে কিছু মহল তার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে।”
বেনাপোল বন্দরের পরিচালক শামীম হোসেন জানান, “শুধুমাত্র পচনশীল পণ্য সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত আমদানি করা হচ্ছে। আমরা বন্দর পরিচালনা করি, তবে কাস্টমস অনুমোদন ছাড়া কোনো পণ্য ডেলিভারি বা লোড-আনলোড করা সম্ভব নয়। ব্যবসায়ী ও কাস্টমস কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আমরা সবসময় সহযোগিতায় আছি।

Read more