যশোরের পল্লীতে দুই যুবককে অবৈধভাবে আটক করে মুক্তিপণ দাবি এক নারীসহ গ্রেফতার-৪

বিশেষ প্রতিনিধি
সদর উপজেলার সিতারামপুর গ্রামের পাকা রাস্তার ব্রীজের উপরে নাহিদ হাসান সবিজ (২৫) ও মতিন (২৫) নাকে দুই যুবককে অপহরণ করে একটি ঘরে আটকে রেখে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে মারপিট করার অভিযোগে কোতয়ালি থানায় মামলা হয়েছে। পুলিশ এক নারীসহ ৪ চাঁদাবাজকে গ্রেফতার করেছে। গ্রেফতারকৃতরা হচ্ছে,যশোর সদর উপজেলার সিতারামপুর (রাজারহাট) গ্রামের বাবুল শেখ এর ছেলে হৃদয় হোসেন, রাজারহাট গ্রামের সেলিম হোসেনের ছেলে নয়ন হোসেন,ইসারত মুন্সির ছেলে তাকবীর মুন্সি ও মুড়লী খাঁ পাড়ার আব্দুর হাকিমের মেয়ে মোছাঃ বিউটি খাতুন। সোমবার ১ মে দুপুর দেড়টায় মামলাটি করেন, যশোরের বাঘারপাড়া উপজেলার ওয়াদিপুর গ্রামের মৃত হাজী জয়নাল আবেদীনের ছেলে ওসমান গনি। মামলায় গ্রেফতারকৃতরা আসামীসহ অজ্ঞাতনামা ১/২জন উল্লেখ করা হয়েছে।
মামলায় বাদি উল্লেখ করেন, তার ছেলে নাহিদ হাসান সজিব বাঘারপাড়া উপজেলার ওয়াদিপুর গ্রামস্থ সুপার ইট ভাটায় ম্যানেজার হিসেবে চাকুরী করে। গত ৩০ এপ্রিল সন্ধ্যা সাড়ে ৬ টায় বাদির ছেলে সুপার ইট ভাটা হতে ইট ভাটার টাকা ছাতিয়ানতলা শাখা ফাষ্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকে জমা দিয়ে বাদির ছেলে ও ছেলে বন্ধু বাঘারপাড়া উপজেলার ছায়বাড়িয়া গ্রামের মোহাম্মদ মোল্লার ছেলে মতিন ব্যক্তিগত প্রয়োজনীয় কাজে যশোর শহরের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়।  পথিমধ্যে রবিবার ৩০ এপ্রিল রাত  ৮ টায় তারা দু’জন সদর উপজেলার সিতারামপুর গ্রামস্থ পাকা রাস্তার ব্রীজের উপরে পৌছালে চাঁদাবাজ সন্ত্রাসী হৃদয় হোসেন, নয়ন হোসেন ও তাকবীর মুন্সি বাদির ছেলে  ও তার বন্ধুরকে দেখে অবৈধভাবে পথরোধ করে। তাদের বিভিন্ন ধরনের ভয়ভীতি দেখিয়ে গোপন করার উদ্দেশ্যে অপহরণ করে হৃদয় হোসেনের বাড়িতে নিয়ে তাদের দু’জনকে অবৈধভাবে আটক করে রাখে। এক পর্যায় আসামীরা নাহিদ হাসান সজিবের কাছে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে। বাদির ছেলে চাঁদার টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে বাদির ছেলেকে ভয়ভীতি প্রদর্শন করতে থাকে এবং দাবিকৃত চাঁদার টাকা দিতে বলে নাহিদ হাসান সজিব তার কাছে টাকা নাই বলে জানালে বাদির ছেলেকে এলোপাতাড়ী মারপিট করে এবং নাহিদ হাসান সজিদের নিকটের বিকাশ নম্বর হতে আসামীদের বিকাশ মোবাইল নম্বরে ৩ হাজার টাকা সেন্ড করে এবং নাহিদ হাসান সজিবের বন্ধু মতিন এর মামাকে ফোন করে তাহার ভাগ্নে বিপদে আছে বলে মামার কাছ থেকে আসামীদের নগদ নাম্বারে ২ হাজার ৫শ টাকা নেয়। আসামীরা নাহিদ হাসান সজিদের মোবাইল ফোনের সব ম্যাসেজ ডিলেট করে দেয়। আসামীদের দাবীকৃত চাঁদার আরো ৪৪ হাজার ৫শ’ টাকা না দিলে বাদির ছেলে ও তার বন্ধুকে ছেড়ে দিবে না বলে হুমকী ধামকী প্রদান করতে থাকে। পরবর্তীতে নাহিদ হাসান সজিব তার মোবাইল ফোনের মাধ্যমে তার ছোট ভাই রাকিব ইসলামকে জে জানায়্ তাকে হৃদয় হোসেনের বাড়িতে আটক করে রেখেছে। রাকিব ঘটনার বিষয় থানা পুলিশকে মোবাইল ফোনে সংবাত দিলে তৎক্ষনিক থানা পুলিশ সোমবার ১ মে রাত দেড়টায় সিতারামপুর (রাজারহাট) গ্রামের হৃদয় হোসেনের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে নাহিদ হাসান সজিব ও তার বন্ধু মতিনকে উদ্ধার করে। এ সময় উল্লেখিত চারজনকে গ্রেফতার করে। পরে সোমবার ১ মে গ্রেফতারকৃতদের আদালতে সোপর্দ করে।