যশোরে পেশাদার চোর রাশেদুল ইসলামের বিরুদ্ধে চুরি ও মাদক আইনে দু’টি মামলা

বিশেষ প্রতিনিধি
পেশাদার চোর রাশেদুল ইসলামকে ফেনসিডিল ও চুরিকৃত মালামালসহ গ্রেফতারের ঘটনায় কোতয়ালি থানায় আলাদা দু’টি মামলা হয়েছে। একটি মামলায় বাদি হয়েছেন, যশোর শহরের চাঁচড়া রায়পাড়ার সৈয়দ জাহাঙ্গীর আলম দুলালের ছেলে শামিম অপর মামলাটির বাদি হয়েছেন,যশোর কোতয়ালি থানার এএসআই কামাল হোসেন। রাশেদুল ইসলাম যশোর সদর উপজেলার শেখহাটি ( মোল্যাপাড়া আব্দুল জব্বারের বাড়ির ভাড়াটিয়া) তোরাব আলীর ছেলে।
বাদি শামিম মামলায় উল্লেখ করেন, ৫ নং উপশহর জি-ব্লক,ফ্লট নং ১৭ আর্ট ফোর্ট ফ্যাশন নামক  গার্মেন্টস ফ্যাক্টরীতে ম্যানেজার হিসেবে তিনি চাকুরী করেন। প্রতিদিনের ন্যায় তিনিসহ অন্যান্য কর্মচারীরা গত ২১ এপ্রিল রাত ৯ টায় গার্মেন্টস ফ্যাক্টরী বন্ধ করে যার বাড়িতে চলে যায়। ২৩ এপ্রিল ঈদের ছুটি কাটিয়ে তিনি বেলা ১১ টায় ফ্যাক্টরীতে এসে নীচতলায় স্টোরে মালামাল দেখতে গেলে দেখেন যে,স্টোর রুমের মালামাল এলোমেলো করা। সন্দেহ হলে স্টোর রুমের জানালার কাছে যেয়ে দেখেন দক্ষিণ জানালার লক ভাঙ্গা দেখতে পাই। বিষয়টি ফ্যাক্টরীর অন্যান্য কর্মচারীদের জিজ্ঞাসাবাদ ও  মালিককে জানায়। পরে স্টোর রুমের মধ্যে সিসিটিভি ফুটেজে দেখেন ২১ এপ্রিল রাত দেড়টার হতে ২ টা ৪০ মিনিট পর্যন্ত উক্ত চোর স্টোর রুমের ভবনের পিছনের জানালার বাহিরের রুমের জানালার লক ধরে টানাটানি করছে এবং স্টোরের পাশে ঘোরাঘুরি করছে। পরে স্টোর রুমের ঘুরে বিভিন্ন প্রকারের মালামালসহ ১লাখ ৩৭ হাজার ৩শ’ ৫০ টাকার মালামাল চুরি করে নিয়ে যায়। সিসিটিভি ফুটেজ স্থানীয় লোকজনদের দেখালে তারা পেশাদার চোর রাশেদুল ইসলামকে সনাক্ত করেন। বিষয়টি থানায় মামলা দেওয়ার পর থানা পুলিশ রাশেদুল ইসলামকে গ্রেফতার করে। এ সময় তার দখলে থাকা ৫১ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার ও চুরিকৃত মালামাল উদ্ধার করে। রাশেদুল ইসলামকে শনিবার আদালতে সোপর্দ করেছেন।#