যশোরে এসএসসি পরীক্ষার্থীকে বিয়ের প্রলোভন  দিয়ে ফুসলিয়ে অপহরণের অভিযোগে মামলা

বিশেষ প্রতিনিধি
বিয়ের প্রলোভন দিয়ে এক কলেজ পড়–য়া শিক্ষার্থীকে ফুসলিয়ে অপহরণের অভিযোগে দেলোয়ার হোসেন রিপন সহ অজ্ঞাতনামা ২/৩ জনের বিরুদ্ধে কোতয়ালি থানায় মামলা হয়েছে। শনিবার বিকেলে মামলাটি করেন, যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার ছুটিপুর গ্রামের বর্তমানে সদর উপজেলার পালবাড়ী (মিলন এর বাড়ির ভাড়াটিয়া এলজিডি ভবনের পাশে মোহাম্মদ শরিফুল ইসলামের স্ত্রী ও আব্দুল আজিজের মেয়ে পাপিয়া খাতুন। মামলায় আসামী করেন, কক্সবাজার জেলার মহেশখালী থানার বারোঘর পাড়া ( পানির ছড়ার পাশে) মঞ্জুরুল ইসলামের ছেলে দেলোয়ার হোসেন রিপনসহ অজ্ঞাতনামা ২/৩জন।
মামলায় বাদি উল্লেখ করেন, তার মেয়ে শশী ইসলাম এশা (১৬) যশোর ক্যান্টনমেন্ট দাউদ পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজে অধ্যায়নরত। শশী ইসলাম এশা এসএসসি পরীক্ষার্থী। বাদির তার ভাড়া বাসা হতে তার মেয়ে প্রতিদিন উক্ত স্কুলে যাওয়া-আসা করতো। গত অনুমান ৪/৫ মাস পূর্বে দেলোয়ার হোসেন এর সাথে বাদির মেয়ের পরিচয় হয়। পরিচয়ের এক পর্যায়ে দেলোয়ার হোসেন বিয়ের প্রলোভন দিয়ে বাদির নাবালিকা মেয়ের সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে। বাদির মেয়ের সাথে দেলোয়ার প্রায়ই সময় মোবাইল ফোনে কথাবার্তা বলতো। গত ১১ মার্চ বিকেল ৩ টায় দেলোয়ারসহ অজ্ঞাতনামা বাদির নাবালিকা মেয়েকে পালবাড়ী মোড় বাসস্ট্যান্ড হতে ফুসলিয়ে নিয়ে যায়। পরবর্তীতে বাদি মেয়ের সন্ধ্যান না পেয়ে খোঁজাখুজি করতে থাকে। কোথাও না পেয়ে ১২ মার্চ কোতয়ালি থানায় সাধারণ ডাইরী করেন। মেয়েকে না পেয়ে বাদি দেলোয়ার হোসেন রিপনের মোবাইল ফোন সংগ্রহ করে তার সাথে যোগাযোগ বাদির তার মেয়ের সাথে যোগাযোগের এক পর্যায় দেলোয়ার হোসেন রিপন বাদিকে জানায় তার মেয়ে তার হেফাজতে আছে। দেলোয়ার হোসেন রিপন বাদির নাবালিকা মেয়েকে বিয়ের প্রলোভন দিয়ে ফুসলিয়ে অজ্ঞাতনামা আসামীদের সহযোগীতায় অপহরণ করে নিয়ে যায়। ১৩ মার্চ বেলা ১ টায় দেলোয়ার হোসেন রিপনের বাড়িতে যেয়ে তার  পিতা,মাতা, ভাই,বোনদের কাছে  বাদি তার মেয়ের কথা জিজ্ঞাসাবাদ করে এবং তারা কোন সন্তোষজনক জবাব দিতে পারেনি।