আমরা তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন বিশ্বাস করি না জাপা মহাসচিব

ঢাক অফিস : আগামী জাতীয় নির্বাচন নিয়ে এখন অনেক মত দেখা যাচ্ছে। কেউ চান সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন হবে, আবার কেউ চাচ্ছেন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন। তবে তত্ত্বাবধায়ক সরকার সুষ্ঠু নির্বাচন করতে পারবে তার কোনো গ্যারান্টি নেই বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় পার্টির (জাপা) মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু। বলেন, ‘আমরা কেয়ারটেকার (তত্ত্বাবধায়ক) সরকারের অধীনে নির্বাচন বিশ্বাস করি না।’

রবিবার জাপার বনানী কার্যালয়ে দলের কো-চেয়ারম্যান, প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সংসদ সদস্যদের সঙ্গে এক যৌথ সভা শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
জাপা মহাসচিব বলেন, ১৯৯৬, ২০০১ ও ২০০৮ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন হয়েছে। কিন্তু আওয়ামী লীগ ও বিএনপি বক্তব্যে প্রমাণ করেছে ওই নির্বাচন সুষ্ঠু হয়নি। যদি নির্বাচন কমিশনের উদ্দেশ্য ভালো থাকে এবং সরকার যদি চায় তাহলে সুষ্ঠু নির্বাচন করা সম্ভব হবে। নির্বাচন বিশ্বাসযোগ্য করতে সরকারকে ভূমিকা নিতে হবে। নির্বাচনের জন্য সুষ্ঠু পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে।
আগামী সংসদ নির্বাচনে তার দল ৩০০ আসনে প্রার্থী দেবে জানিয়ে চুন্নু বলেন, চট্টগ্রামের একটি আসন শূন্য হয়েছে, আমরা সেই উপ-নির্বাচনে অংশ নেব। এছাড়া জাতীয় পার্টি তিনশ আসনেই নির্বাচন করতে প্রস্তুতি নিচ্ছে। তবে সিদ্ধান্ত পরিবর্তনের প্রয়োজন হলে নির্বাচনের আগে পরিবেশ-পরিস্থিতি দেখে আমরা সিদ্ধান্ত নেব।
তিনি বলেন, গোলাম মোহাম্মদ কাদেরের (জিএম) নেতৃত্বে জাতীয় পার্টি ঐক্যবদ্ধ আছে। দলে কোনো বিভেদ নেই। আজকের যৌথ সভায় রাহগীর আল মাহি সাদ এরশাদ অংশ নিয়েছেন। এদিকে দলে বহিস্কৃতদের বিষয়ে সভায় আলোচনা হয়েছে। তাতদের বিষয়ে জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান সিদ্ধান্ত নেবেন। তবে যারা ক্ষমার অযোগ্য সাংগঠনিক বিশৃংখলা করেছেন তাদের বিষয়ে ইতিবাচক সিদ্ধান্ত নাও হতে পারে বলে জানান তিনি।
তিনি আরও বলেন, আগামী নির্বাচনের আগেই জাতীয় সম্মেলন আয়োজন করতে পারবো। এর আগে সকল জেলা সম্মেলনগুলো সম্পন্ন করা হবে। প্রত্যেকটি বিভাগে একটি করে বড় সমাবেশ করা হবে। একই সঙ্গে সারাদেশেই নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি নিতে প্রার্থী ঠিক করে দেওয়া হচ্ছে। অনেক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি আমাদের দলে যোগ দিচ্ছেন। এর আগে জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান জিএম কাদেরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত যৌথ সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন কো-চেয়ারম্যান এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার, কাজী ফিরোজ রশীদ, সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা, প্রেসিডিয়াম সদস্য হাফিজ উদ্দিন আহমেদ প্রমুখ।