তারেক রহমানের পরিকল্পনার ওপর নজর রাখবে জামায়াত: ডা. শফিকুর রহমান

Share

লন্ডনে দীর্ঘ প্রায় দেড় যুগের নির্বাসিত জীবন কাটিয়ে দেশে ফিরেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। রাজসিক সংবর্ধনার মাধ্যমে তাকে বরণ করে নিয়েছে বিএনপি। তার এই ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তনকে স্বাগত জানিয়েছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীও।

বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) দলটির আমির শফিকুর রহমান বিবিসি বাংলাকে বলেছেন, ‘একজন রাজনৈতিক সহকর্মী দীর্ঘ ১৭ বছর পর সরাসরি রাজনীতির মাঠে ফিরছেন, এটিকে আমি ইতিবাচক হিসেবে দেখছি।’

একই সঙ্গে শফিকুর রহমান এও বলেছেন, ‘বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে ঐক্যের ব্যাপারে তারেক রহমান কী ভূমিকা রাখেন, অথবা কী পরিকল্পনা আছে তার এবং বাস্তবায়ন কীভাবে করবেন—এসব বিষয়ে জামায়াত নজর রাখবে।’

জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ারও বিবিসি বাংলাকে বলেছেন, তিনিও ইতিবাচক হিসেবে দেখেন তারেক রহমানের দেশে ফেরার ঘটনাটিকে। তবে তিনিও মনে করেন, ‘তারেক রহমান কিভাবে ভূমিকা রাখেন, তার ওপর নির্ভর করে জাতীয় রাজনীতিতে তার অবস্থান তৈরি হবে।’

বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) দীর্ঘ ১৭ বছরের নির্বাসিত জীবন কাটিয়ে দেশের মাটিতে পা রেখেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। এদিন দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে তাকে নিয়ে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে বাংলাদেশ বিমানের বাণিজ্যিক ফ্লাইট। এরপর বিমানবন্দর থেকে সড়কপথে তিনি একটি বিশেষ বাসে করে ৩০০ ফিটের উদ্দেশ্যে রওনা দেন। সেখানে তার জন্য প্রস্তুত ছিল সংবর্ধনা মঞ্চ। বাসে করে ৩ ঘণ্টা ১৫ মিনিট পর মঞ্চে পৌঁছান বিএনপি নেতা তারেক রহমান।

দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর তারেক রহমানের এই স্বদেশ প্রত্যাবর্তন ঘিরে আনন্দের জোয়ার বইছে বিএনপির নেতাকর্মী ও সমর্থকদের মধ্যে। গণসংবর্ধনা মঞ্চে উঠেই হাত নেড়ে তাদের ভালোবাসা ও শুভেচ্ছার জবাব দেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান। সবাই মিলে এক নিরাপদ বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয় ফুটে ওঠে তার কণ্ঠে।

উদাত্ত কণ্ঠে জনতার উদ্দেশে তারেক রহমান বলেন, আপনারা মার্টিন লুথার কিং-এর নাম শুনেছেন। তিনি বলেছিলেন, আই হ্যাভ এ ড্রিম। আমি আপনাদের সকলের সামনে দাড়িয়ে আমি বলতে চাই- আই হ্যাভ এ প্লান। ফর দি পিপল অব মাই কান্ট্রি। দেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য এটি আমরা বাস্তবায়ন করব।

তিনি আরও বলেন, আমাদের দেশের প্রত্যেকটি মানুষের সহযোগিতা লাগবে। এজন্য আপনারা পাশে থাকবেন। সেটা হলেই কেবল আমরা সেই ‘আই হ্যাভ এ প্ল্যান’ বাস্তবায়ন করতে সক্ষম হব।

২০০৭ সালে ১/১১ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় তারেক রহমান গ্রেপ্তার হন। এক বছর কারাভোগের পর ২০০৮ সালে তিনি মুক্তি পান এবং চিকিৎসার জন্য স্ত্রী ডা. জুবাইদা রহমান ও কন্যা জাইমা রহমানকে সঙ্গে নিয়ে লন্ডনে যান। এরপর থেকেই বিএনপির এই শীর্ষ নেতা লন্ডনে নির্বাসিত জীবনযাপন করে আসছিলেন।

দীর্ঘ প্রতীক্ষা শেষে দেশের আকাশসীমায় প্রবেশের পর তারেক রহমান তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক পোস্ট লেখেন, ‘দীর্ঘ ৬ হাজার ৩১৪ দিন পর বাংলাদেশের আকাশে!’

Read more