যশোরে ভুয়া চিকিৎসকের বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান,৫০ হাজার টাকা জরিমানা

Share

যশোর অফিস 
যশোর জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের উদ্যোগে যশোর শহরের বঙ্গবাজারে অবস্থিত যশোর পাইলস কিওর সেন্টার নামীয় একটি প্রতিষ্ঠানে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) দুপুরে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।
অভিযানকালে জানা যায়, প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক ডা.এইচ এস এম আব্দুর রব নিজেকে হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক হিসেবে পরিচয় দিলেও দীর্ঘদিন ধরে অবৈধভাবে এলোপ্যাথিক চিকিৎসা প্রদান ও পাইলসের অস্ত্রোপচার পরিচালনা করে আসছিলেন। চেম্বার তল্লাশি করে সেখানে কোনো হোমিওপ্যাথিক ওষুধ পাওয়া যায়নি। বরং বিপুল পরিমাণ এলোপ্যাথিক ওষুধ মজুত থাকার প্রমাণ মেলে।
ভ্রাম্যমাণ আদালতে অভিযুক্ত চিকিৎসক স্বীকার করেন যে, তিনি ঢাকার একটি প্রতিষ্ঠান থেকে হোমিওপ্যাথিক ডিএইচএমএস প্রশিক্ষণ গ্রহণ করলেও দীর্ঘদিন ধরে এলোপ্যাথিক চিকিৎসা ও পাইলসের অপারেশন পরিচালনা করে আসছেন। তিনি আরও দাবি করেন, ভারতবর্ষের কলকাতা থেকে এ সংক্রান্ত প্রশিক্ষণ নিয়েছেন এবং প্রায় ৩৫ বছর ধরে এ কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন। তবে এসব দাবির পক্ষে তিনি কোনো বৈধ কাগজপত্র বা প্রমাণ উপস্থাপন করতে পারেননি।
এ অপরাধে ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বাসুদেব বালু অভিযুক্ত ডা. এইচ এস এম আব্দুর রবকে ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করেন। অনাদায়ে তাকে ১০ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
অভিযানে যশোরের সিভিল সার্জন ডা.মো. মাসুদ রানার নেতৃত্বে এমডিআরএস ডা. রওশনারা লিজা এবং যশোর মেডিকেল কলেজের কোলোরেক্টাল সার্জারি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. মাহমুদুল হাসান পান্নুসহ প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।
স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে জানানো হয়, জনস্বার্থে ভুয়া ও অবৈধ চিকিৎসা কার্যক্রমের বিরুদ্ধে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।

Read more