যশোর অফিস
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন উপলক্ষে যশোর নগর এবং সদর উপজেলা বিএনপির উদ্যোগে দুটি ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ড্যাব) যশোর জেলা শাখার আয়োজনে পৌর সদরের এম এস টি পি স্কুল এন্ড কলেজ মাঠ এব সদর উপজেলার ইছালী মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে পৃথক দুটি মেডিকেল ক্যাম্প অনুষ্ঠিত হয়।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক খুলনা বিভাগ অনিন্দ্য ইসলাম অমিত মেডিকেল ক্যাম্প দুটির উদ্বোধন করেন। এ সময় তিনি বলেন, শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের আদর্শ হৃদয়ে ধারণ করে বিএনপির রাজনীতি করি। আমাদের প্রয়াত অভিভাবক তরিকুল ইসলাম শহীদ জিয়াউর রহমানের আদর্শ এই অঞ্চলে ঘরে ঘরে পৌঁছে দিয়েছিলেন। জিয়াউর রহমান এবং তরিকুল ইসলামের রাজনীতি ছিল মানুষের জন্য রাজনীতি। মানুষের সুখে দুখে বিপদে আপদে থাকার রাজনীতি। তাদের আদর্শ ধারণ করে আমরা সব সময় মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা করি। তাদের সুখ দুঃখের সাথী হবার চেষ্টা করি। যখন বারবার তাদের ভোটের অধিকার হরণ করেছে। সেই অধিকার আদায়ের জন্য রাজপথে লড়াই সংগ্রাম করেছি। মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত এবং নিত্য পণ্যের দাম কমানোর দাবিতে আন্দোলন করেছি।
তিনি বলেন, আমাদের অভিভাবক তরিকুল ইসলামের আহ্বানে সাড়া দিয়ে বেগম খালেদা জিয়া যশোর- ২৫০ শয্যা হাসপাতাল এবং যশোর মেডিকেল কলেজ তৈরি করেছিলেন। দীর্ঘ ১৮ বছর আগে মেডিকেল কলেজ তৈরি হলেও সেখানে কোন হাসপাতাল তৈরি হয়নি। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান কথা দিয়েছেন, জনগণ সমর্থনে আগামীতে বিএনপি রাষ্ট্র পরিচালনার সুযোগ পেলে যশোর মেডিকেল কলেজে ৫০০ শয্যার হাসপাতাল তৈরি করে দিবেন ইনশাআল্লাহ।
পরে অনিন্দ্য ইসলাম অমিত দুটি মেডিকেল ক্যাম্প পরিদর্শন করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, জেলা বিএনপির সভাপতি অ্যাড. সৈয়দ সাবেরুল হক সাবু, সাংগঠনিক সম্পাদক প্রকৌশলী রবিউল ইসলাম, সাবেক সহ সভাপতি গোলাম রেজা দুলু, নগর বিএনপির সভাপতি রফিকুল ইসলাম চৌধুরী মুল্লুক চাঁদ, সাধারণ সম্পাদক এহসানুল হক সেতু, সদর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আঞ্জুরুল হক খোকন, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক প্রমুখ।
মেডিকেল ক্যাম্পের তত্ত্বাবধানকারী ড্যাব নেতা ফারুক এহতেশাম পরাগ জানান, দুটি মেডিকেল ক্যাম্পে মেডিসিন, হৃদরোগ, বক্ষব্যাধি, গ্যাস্ট্রোএন্ট্রোলজী, নেফ্রলজী, নিউরোমেডিসিন, গাইনী, শিশু, নাক কান গলা, অর্থোপেডিক্স, চক্ষু, সার্জারী, ডেন্টালসহ মোট ১৩ টি বিষয়ে ৩০ জন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক সেবা প্রদান করছেন। প্রতি রোগীকে বিনা মূল্যে প্রয়োজনীয় ওষুধ প্রদান করা হচ্ছে। কোন রোগীর অপারেশনের প্রয়োজন হলে সেটিও বিনামূল্যে করা হবে। আগামী তিন মাস পর্যন্ত প্রতি রোগীকে ফলোআপ চিকিৎসা প্রদান করা হবেন।