ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটের আগে-পরে ১০ দিন করে মোট ২০ দিন সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিশ্চিতের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোট।
বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ. এম. এম. নাসির উদ্দিনের সঙ্গে বৈঠকে সংগঠনটি এ দাবি জানায়।
বৈঠকের পর সংগঠনের নির্বাহী মহাসচিব ও মুখপাত্র পলাশ কান্তি দে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, আমরা সাতটি প্রস্তাবনা জমা দিয়েছি। এবারের দুর্গাপূজায় হিন্দু সম্প্রদায়কে যেভাবে নিরাপত্তা দেওয়া হয়েছিল, নির্বাচনে তার চেয়েও বেশি নিরাপত্তার আশ্বাস দিয়েছেন সিইসি।
দাবিগুলো হলো:
১) নির্বাচনের ১০ দিন আগে থেকে ১০ দিন পর পর্যন্ত সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের বাসাবাড়ি, মঠ-মন্দিরের নিরাপত্তা জোরদার করা।
২) নির্বাচনে সেনা মোতায়েন করা।
৩) নির্বাচনে ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে, বিশেষ করে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের কোনো ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে নির্বাচনী প্রচার বা সভা-সমাবেশ না করা।
৪) নির্বাচনে ধর্মের ব্যবহার না করা।
৫) যে সব আসনে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর হামলা হবে, সেই আসনে ভোট স্থগিত করা এবং তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া।
৬) নির্বাচনের আগে প্রধান নির্বাচন কমিশন অফিসে সংখ্যালঘু ও নারী ভোটারদের নিরাপত্তা নিশ্চিতকল্পে একটি মনিটরিং সেল গঠন করা। প্রয়োজনে সেখানে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের পক্ষ থেকে দু’জন রাজনৈতিকভাবে নিরপেক্ষ প্রতিনিধি রাখা যেতে পারে। প্রতিটি জেলায়ও অনুরূপ মনিটরিং সেল গঠন করা।
৭) সংখ্যালঘু ভোটাররা যাতে নির্ভয়ে ভোটকেন্দ্রে যেতে পারেন এবং তাদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিয়ে নিরাপদে বাড়িতে ফিরতে পারেন, তার ব্যবস্থা করা।
এ সময় সংগঠনটির অন্য নেতারাও উপস্থিত ছিলেন।