বাংলাদেশের বিপক্ষে সিরিজ জয় তো বটেই, হোয়াইটওয়াশেরও স্বাদ নিলো ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ১৫২ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে মাত্র ১৬.৫ ওভারেই ৫ উইকেট হারিয়ে জয় তুলে নেয় ক্যারিবীয়রা। দলের জয় নিশ্চিত করতে মুখ্য ভূমিকা রাখেন অধিনায়ক রস্টন চেজ এবং তরুণ ব্যাটার অ্যাকিম অগাস্টে, দুজনেই হাফ সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন।
প্রথম দিকে কিছুটা চাপে পড়েছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ইনিংসের তৃতীয় ওভারেই মাত্র ১ রানে আউট হন অ্যালিক আথানাজে। মাহেদি হাসানের বলে লিটন দাসের স্টাম্পিংয়ে বিদায় নেন তিনি। এরপর কিছুটা আশা জাগিয়েছিলেন উইকেটরক্ষক ব্যাটার আমির জানগু, ২৩ বলে ৩৪ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলেন তিনি, তবে রিশাদ হোসেনের বলেই এলবিডব্লিউ হয়ে ফেরেন।
তবে দলের ভরাডুবি সামাল দেন দুই অভিজ্ঞ ও তরুণ মুখ রস্টন চেজ ও অ্যাকিম অগাস্টে। তারা চতুর্থ উইকেটে গড়েন ৯১ রানের জুটি। চেজ ২৯ বলে ৫০ রান (৫ চার, ১ ছক্কা), অগাস্টে ২৫ বলে ৫০ রান করেন (১ চার, ৫ ছক্কা)। দুজনের বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশি বোলারদের অসহায় দেখায়। তবে দুজনই শেষ দিকে উইকেট খোয়ান রিশাদের কাছে।
বাংলাদেশের বোলাররা শেষদিকে বেশ কয়েকটি উইকেট তুলে নিলেও সেটা ওয়েস্ট ইন্ডিজের জয় ঠেকানোর জন্য যথেষ্ট ছিল না। রিশাদ দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট তুলে নেন।
এর আগে ম্যাচের শুরুতে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ। ইনিংসের শুরুটা ছিল বেশ ধীরস্থির। ওপেনার পারভেজ হোসেন ইমন ৯ রান করে আউট হলে ব্যাটিং বিপর্যয়ের শুরু হয়। এরপর অধিনায়ক লিটন দাস (৬), সাইফ হাসান (২৩), এবং রিশাদ হোসেন (৩) একে একে সাজঘরে ফেরেন।
এক প্রান্তে যখন নিয়মিত বিরতিতে উইকেট পড়ছে, তখন অপর প্রান্তে দৃঢ়তার সঙ্গে ব্যাট চালিয়ে যান তানজিদ হাসান। তিনি ৬২ বল মোকাবিলা করে ৯টি চার ও ৪টি ছক্কায় করেন ৮৯ রানের অনন্য ইনিংস। দলের অন্য কোনো ব্যাটার তার সঙ্গে বড় জুটি গড়তে না পারলেও তানজিদের ব্যাটে ভর করেই লড়াইযোগ্য স্কোর দাঁড় করাতে সক্ষম হয় বাংলাদেশ।
শেষদিকে জাকের আলি (৫), নুরুল হাসান (১), ও নাসুম আহমেদ (১) রান যোগ করেন। তবে বাংলাদেশের উইকেট যেন আসা-যাওয়ার মিছিল। দলীয় ১৪২ রানেই বাংলাদেশ ৩ উইকেট হারায়। যার মধ্যে তানজিদের উইকেটও আছে। তাসকিন আহমেদের ৪ বলে ৯ রানে শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশ থামে ১৫১ রানে।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের পক্ষে বল হাতে সবচেয়ে সফল ছিলেন রোমারিও, যিনি পান ৪ উইকেট। এছাড়া জেসন হোল্ডার ও খারি পিয়েরে ২টি করে উইকেট নেন।