যশোর অফিস
শারদীয় দুর্গোৎসব উপলক্ষে ভারতে ইলিশ রপ্তানি শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) রাত ১টার পর বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে আটটি ট্রাকে করে প্রথম চালানে ৩৭ দশমিক ৪৬ মেট্রিক টন ইলিশ ভারতে পাঠানো হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বেনাপোল বন্দর মৎস্য কোয়ারেন্টিন কর্মকর্তা সজীব সাহা।
রপ্তানিকৃত ইলিশ পাঠিয়েছে সততা ফিশ, স্বর্ণালি এন্টারপ্রাইজ, তানিশা এন্টারপ্রাইজ, বিশ্বাস এন্টারপ্রাইজ ও লাকি ট্রেডিং। অপরদিকে ভারতের আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানগুলো হলো ন্যাশনাল ট্রেডিং, এফএনএস ফিশ, জয় শান্তসী, মা ইন্টারন্যাশনাল ও আরজে ইন্টারন্যাশনাল।
সরকার এ বছর দুর্গাপূজা উপলক্ষে মোট এক হাজার ২০০ মেট্রিক টন ইলিশ রপ্তানির অনুমোদন দিয়েছে। অনুমোদনপ্রাপ্ত ৩৭ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে একটি প্রতিষ্ঠান ৫০ টন, ২৫টি প্রতিষ্ঠান ৩০ টন করে ৭৫০ টন, ৯টি প্রতিষ্ঠান ৪০ টন করে ৩৬০ টন এবং দুটি প্রতিষ্ঠান ২০ টন করে মোট ৪০ টন ইলিশ রপ্তানি করতে পারবে। রপ্তানির সময়সীমা ৫ অক্টোবর পর্যন্ত নির্ধারণ করা হয়েছে। প্রতিকেজি ইলিশের রপ্তানি মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ১২ দশমিক ৫ মার্কিন ডলার।
সরকারি অনুমোদনের শর্তে বলা হয়েছে,প্রয়োজনে যেকোনো সময় ইলিশ রপ্তানি বন্ধ করা যাবে এবং মৎস্য আহরণে কোনো বিধিনিষেধ আরোপ হলে রপ্তানির অনুমতিও স্বয়ংক্রিয়ভাবে বাতিল হবে।
উল্লেখ্য,২০১২ সালের আগে নিয়মিত ইলিশ রপ্তানি হলেও উৎপাদন কমে যাওয়ায় তা বন্ধ করা হয়। তবে দুর্গোৎসবে বিশেষ বিবেচনায় কয়েক বছর ধরে আবার রপ্তানির অনুমতি দেওয়া হচ্ছে। গত বছর ২ হাজার ৪২০ মেট্রিক টনের অনুমোদন থাকলেও রপ্তানি হয়েছিল মাত্র ৫৩২ মেট্রিক টন। ২০২৩ সালে ৩৫০০ টনের অনুমতি থাকলেও রপ্তানি হয় ৬৩১ দশমিক ২৪ টন, ২০২২ সালে ২৯০০ টনের অনুমতিতে রপ্তানি হয় ১৩০০ টন, আর ২০২১ সালে ৪৬০০ টনের অনুমোদনে রপ্তানি হয়েছিল ১ হাজার ৬৯৯ মেট্রিক টন ইলিশ।
রপ্তানিকারক সাইফুল ইসলাম বলেন,“ইলিশ রপ্তানি দুই দেশের বাণিজ্য ও সৌহার্দ্য সম্পর্ককে আরও জোরদার করবে।”