জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৮১তম অধিবেশনের প্রেসিডেন্ট পদে বাংলাদেশ ও ফিলিস্তিনের মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতার বিষয়ে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা এম তৌহিদ হোসেন বলেছেন, এই ঘোষণা চার বছরে আগের।
মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
ঢাকার একটি গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৮১তম অধিবেশনের প্রেসিডেন্ট পদে বাংলাদেশ ও ফিলিস্তিনের মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে।
এ বিষয়ে মন্তব্য জানতে চাইলে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা এম তৌহিদ হোসেন বলেন, পত্রিকায় লেখা হয়েছে বাংলাদেশ ফিলিস্তিনের মুখোমুখি। তবে হেডলাইন লেখা উচিত ছিল, ফিলিস্তিন বাংলাদেশের মুখোমুখি। কেননা চার বছর আগে আমরা প্রতিদ্বন্দ্বিতার ঘোষণা দিয়েছিলাম।
তিনি বলেন, আমাদের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতার কথা ছিলো সাইপ্রাসের। তবে ফিলিস্তিন অনেক পরে এতে যোগ দেয়। তারা আমাদের সঙ্গে যোগাযোগও করেনি। যোগাযোগ করাটা স্বাভাবিক ছিল।
কাতারে ইসরায়েলি হামলার পরিপ্রেক্ষিতে জরুরি যৌথ আরব-ইসলামিক শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দেওয়ার বিষয়ে উপদেষ্টা বলেন, কাতারে খুবই অপ্রত্যাশিভাবে ইসরায়েল একটি হামলা চালিয়েছে।
তিনি বলেন, সবচেয়ে অদ্ভুত বিষয়, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের উদ্যোগেই হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধ বন্ধে সমঝোতার চেষ্টা চলছিল। তবে আলোচনা করতে গিয়ে আলোচকদের মেরে ফেলা খুবই অদ্ভুত বিষয়।
তিনি আরও বলেন, সমঝোতার লক্ষ্যে যে আলোচনা, সেখানে আলোচকদের মেরে ফেললে আলোচনা হবে কী করে। আর সেখানে সেই ঘটনাই ঘটেছে। কাতারে আমাদের মূল আলোচনা ছিল, এ ঘটনায় কাতারের প্রতি সমর্থন ও সমবেদনা জানানো। আর ইসরায়েল যে গর্হিত কাজ করেছে তার নিন্দা জানানো। সেটাই আমরা করেছি।