যশোর ডিবির জালে চোর চক্রের ৪ সদস্য ধরা সাতটি চোরাই মোটরসাইকেল উদ্ধার

Share

যশোর প্রতিনিধি 

যশোর জেলা ডিবি পুলিশকে বিশেষ ধন্যবাদ জানিয়েছেন পুলিশের মহাপরিদর্শক বাহারুল ইসলাম। ডিবি পুলিশের একটি অভিযানে গোপালগঞ্জ থেকে ৭টি দামি চোরাই মোটরসাইকেল উদ্ধার এবং আন্তঃজেলা চোরচক্রের ৪ সদস্যকে আটক করায় জেলা পুলিশ সুপার রওনক জানানের মাধ্যমে ওই ধন্যবাদ জানান। শুক্রবার বিকেলে জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে এক প্রেসব্রিফিং এ কথা জানান পুলিশ সুপার।আটক চারজন হলো,গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলার কালনাঘাট চর ভাটপাড়া শংকরপাশা গ্রামের জাকির হোসেনের ছেলে তামিম খান (২১), গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার চর সোনাকুড় গ্রামের মৃত আলমগীর শেখের ছেলে মুরসালিন (২১), এনামুল শিকদারের ছেলে আজিম শিকদার (২১) এবং কাশিয়ানীর বাট্রাইধোবা গ্রামের মিজানুর রহমানে ছেলে হাসানুর রহমান (২২)।

তিনি জানিয়েছেন, চলতি বছরের ৯ জুলাই আন্তঃজেলা মোটরসাইকেল চোরচক্রের প্রধান শহিদুল ইসলাম শহিদকে (৪২) যশোর শহরের পালবাড়ি ভাষ্কর্যের মোড় থেকে আটক করে ডিবি পুলিশ। এরপর তার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে নড়াইল ও গোপালগঞ্জের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে এই চক্রের ৬জনকে আটক করা হয়েছিল। উদ্ধার করা হয়েছিল ৪টি চোরাই মোটরসাইকেল। সেসময় শহিদের দেয়ার তথ্যের ভিত্তিতে এই চক্রের আরো কয়েকজনের নাম পরিচয় পায় ডিবি পুলিশ। তাদের আটক করতে গোয়েন্দা তৎপরতা চালায় পুলিশ। গত বৃহস্পতিবার ডিবি পুলিশের অফিসার ইনচার্জ মঞ্জুরুল হক ভূঁঞার নির্দেশে ও এসআই কামরুজ্জামানের নেতৃত্ত্বে একটি টিম গোপালগঞ্জে অভিযান চালায়। দিনভর ওই জেলার মুকসেদপুর, কাশিয়ানী ও সদরে অভিযান চালিয়ে চারজনকে আটক করে। আর উদ্ধার করা হয় ৭টি দামি মোটরসাইকেল। এর মধ্যে ইয়াহামা কোম্পানির আর ওয়ান ফাইভ ব্যান্ডের দুটি, সুজুকি জিক্সকার ব্রান্ডের ৩টি, এফজেড ভি-থ্রি ব্রান্ডের একটি এবং বাজাজ কোম্পানির পালসার ব্রান্ডের একটি মোটরসাইকেল রয়েছে। এই নিয়ে গত দুই মাসে ১১টি চোরাই মোটরসাইকেল ও চোরচক্রের ১০জনকে আটক করা হয়েছে।
তিনি জানিয়েছেন, যশোর ডিবি পুলিশের এটি একটি বড় সাফল্য। ডিবি পুলিশ সারাক্ষণ অপরাধ নিয়ন্ত্রনে ও অপরাধী ধরতে নজরদারি করে তাকে। দীর্ঘ সময় ধরে ধৈযর্য করার ফসল হলো মোটরাসাইকেল চোরচক্রের ১১জন আটক ও ১০টি মোরাই মোটরসাইকেল উদ্ধার। কিন্তু পরিতাপের বিষয় হলো মাস দুইয়েক আগে এই চক্রের প্রধান শহিদকে আটক করা হয়েছিল। কিন্তু বর্তমানে সে জামিনে মুক্ত। শহিদ ওই চোরচক্র ফের নিয়ন্ত্রণ করছে বলে পুলিশের কাছে খবর আছে। তার প্রতিও নজরদারি আছে পুলিশে।
তিনি আরো জানিয়েছেন, ডিবি পুলিশের এই সাফল্যের কথা আইজিপি বাহারুল ইসলামকে জানানো হয়েছে। তিনি সংবাদ শুনে যশোর ডিবি পুলিশকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। একই সাথে অপরাধ নিয়ন্ত্রণে সবধরনের কৌশল অবলম্বন করার কথা জানিয়েছেন।
এ সময় উপস্থিতি ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক সার্কেল) আহসান হাবিব ও ডিবি পুলিশের ওসি মঞ্জুরুল হক ভুঞা।

Read more