বিশষ প্রতিনিধি
আমিষা আক্তার এশা (১৭) নাম এক তরুণীকে ফুসলিয় প্রতারণা পূর্বক প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তুলে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে অপহরণ করে মুক্তিপণ ৫লাখ টাকা হাতিয় নওয়ার পর নীল কাগজে স্বাক্ষর করে পুনরায় ৫লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে হত্যার চেষ্টার অভিযাগ উঠছে প্রতারক পিয়াল হাসন নামে এক যুবকের বিরুদ্ধে। যশোর সদর উপজলার ছাতিয়ানতলা গ্রামের শিমুল হাসানের ছেলে। মামলাটি করেন, ঝিনাইদাহ জেলার কালীগঞ্জ উপজলার ফরাশপুর গ্রামের বর্তমান যশার সদর উপজলার ডাকাতিয়া গ্রামের হাসান আলীর মেয়ে আমিষা আক্তার এশা।
মামলায় বাদি উল্লখ করেন, উক্ত প্রতারক ও অপহরণকারী পিয়াল হাসন বাঁদিকে উত্যক্তর এক পর্যায়ে গত ১ জুলাই দুপুর ৩ টায় প্রতারকের পিতার বাড়ির সামনে আসতে বলে। পরে উক্ত যুবক বাঁদিকে একটি মাটর সাইকেলে তুলে অপহরণ করে বিয়ের প্রলাভন দিয়ে অজ্ঞাত স্থানে নিয় নীল কাগজ স্বাক্ষর করে বিয়ের কথা বলে স্বামীস্ত্রী হিসব মেলামেশা করে। এ দিকে প্রতারক পিয়াল হাসন তরুনীর মায়ের কাছে মেয়ের মুক্তিপণ হিসেবে ৫লাখ টাকা দাবি করে। এক পর্যায় ৫লাখ টাকা বিভিন কৈশলে তরুনীর মায়ের কাছ থেকে হাতিয়ে নিয়ে পুনরায় ৫লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। টাকা দিতে অস্বীকার করায় তরুণীকে মারপিট করে গত ৩০ আগষ্ট মুক্তিপনের টাকা দিতে অস্বীকার করায় তরুণীকে রাত ১১ টায় বেধড়ক মারপিট করে। মুক্তিপণের টাকা না পেয়ে গলায় ওড়না পেচিয় হত্যার চষ্টা চালায়। গত ৩১ আগষ্ট সকালে তরুনী সুযোগ পেয়ে উক্ত যুবকের বাড়ি হতে পালিয়ে আসার সময় যুবকের মাতা দেখে জোর পূর্বক ঘরে আটকের চেষ্টা করলে তরুনী ধাক্কা দিয়ে দৌড়ায় তার পিতার বাড়িতে চলে আসে। তরুনী তার মায়ের কাছ ঘটনা খুলে বলে। তরুণীকে গ্রাম্য চিকিৎসকের কাছে নিয়ে চিকিৎসা দিয়ে কাতয়ালি থানায় মামলা করতে গেলে থানা কর্তপক্ষ মামলা গ্রহনের অস্বীকৃতি জানায়। পরবর্তীত ১ সপ্টম্বর তরুনী যশার জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা গ্রহন করে। পরবর্তীতে আদালতের স্মরনাপন্ন হলে আদালত মামলা হিসব গ্রহন করার পর বিজ্ঞ আদালতর বিচারক ঘটনা মামলা হিসব গ্রহনের নির্দেশ দেন। আদালতের নির্দেশে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন মামলা রুজু হয়।