হাসিনাকে যদি মোদী মেরে ফেলে, আশ্চর্য হবেন না: বদরুদ্দীন উমর

Share

জুলাই গণঅভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত হয়ে পালিয়ে গিয়ে ভারতের আশ্রয়ে থাকা শেখ হাসিনা সে দেশের সরকারের হাতেই হত্যার শিকার হতে পারেন। এমন ধারণা প্রকাশ করে গেছেন লেখক, গবেষক ও মার্ক্সবাদী তাত্ত্বিক বদরুদ্দীন উমর।

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত দলের কাছে দেওয়া লিখিত জবানবন্দিতে তিনি ধারণা দিয়েছেন। জুলাই গণঅভ্যুত্থানের মানবতাবিরোধী অপরাধের একটি মামলার সাক্ষী তিনি।

রোববার ৯৪ বছর বয়সে মারা গেছেন বদরুদ্দীন উমর। এর পরই ওই জবানবন্দি প্রকাশ করেছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।

জবানবন্দিতে আওয়ামী লীগ প্রসঙ্গে তিনি বলেছেন, ভারতের সহায়তায় কিছু অন্তর্ঘাতমূলক তৎপরতা চালাতে পারলেও জাতীয় রাজনৈতিক দল হিসেবে আওয়ামী লীগের পুনরুত্থান অসম্ভব।

তিনি লিখেছেন, শেখ হাসিনা দীর্ঘদিন ভারতে থাকার সময়ে সেখানে ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক গভীর করেছেন এবং ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা ‘র’ এর সঙ্গে তার গভীর সম্পর্ক গড়ে ওঠে। ওই সম্পর্কের ভিত্তিতেই ভারত শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় বসায়। ফলে পতনের পরে সে ভারতে পালিয়েছে। সে ওখানেই থাকবে। ওখানে থাকাটাই এক ধরনের শাস্তি— সেখানে সে জ্বলে-পুড়ে মরবে।

তিনি লিখেছেন, তার আরেকটা শাস্তি হতে পারে— যেটা আমি মনে করি— ভারত সরকার তাকে মেরে ফেলবে, নিজেদের বিব্রতকর পরিস্থিতি থেকে মুক্তি পেতে। তারা যতদিন তাকে রাখবে, বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক ভালো হবে না। আর সেই সম্পর্ক ভালো করতে গেলে তার ব্যাপারে একটা ফয়সালা করতে হবে।

“ওখানে রাখা যায় কি যায় না— সে প্রশ্ন না। তবে যদি মেরে ফেলে নরেন্দ্র মোদি, আশ্চর্য হবেন না। তারা এমনভাবে বিষয়টা সাজাবে যে- মনে হবে বাংলাদেশি কেউ তাকে মেরেছে। এরকম একটি সংগঠিত প্রচার চালাবে। ”

লিখিত জবানবন্দিতে বদরুদ্দীন উমর ২০০৯ সাল থেকে শেখ হাসিনার শাসন আমলের বিভিন্ন অসঙ্গতি তুলে ধরেন। পাশাপাশি শেখ হাসিনার পিতা শেখ মুজিবুর রহমানেরও কিছু বিষয় তুলে ধরেন।

Read more