কিরন লিম্বুদের গতির ঝড় সামলাতেই ব্যস্ত থাকতে হয়েছে জামালদের। স্কিলে কে বেশি এগিয়ে ছিল, সে প্রশ্ন করা হলে মাঠে উপস্থিত সবাই একবাক্যে স্বীকার করবেন, স্বাগতিকরাই। বরং বলা ভালো, কিরন-আয়ুশদের অসাধারণ পারফরম্যান্স সত্ত্বেও অন্তত হার না মেনে সম্মান বাঁচিয়ে মাঠ ছেড়েছেন জামাল ভূঁইয়ারা। আজ (শনিবার) কাঠমান্ডুর দশরথ রঙ্গশালায় অনুষ্ঠিত দুই ম্যাচের ফিফা প্রীতি সিরিজের প্রথমটিতে নেপালের সঙ্গে গোলশূন্য ড্র করে মাঠ ছেড়েছেন লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা।
মিতুল মারমাকে বাদ দিয়ে গোলপোস্টে সুজন হোসেনের ওপরেই আস্থা রেখেছিলেন বাংলাদেশের স্প্যানিশ কোচ হাভিয়ের কাবরেরা। সামনে বিশ্বস্ত তপু বর্মণের সঙ্গে তারিক কাজীর কাজটা সেন্টার ব্যাক পজিশনে। রাইট ব্যাকে সাদউদ্দিন। আর লেফট ব্যাকে খেলেছেন রহমত মিয়া। মাঝমাঠের মূল দায়িত্বে অধিনায়ক জামাল ও সোহেল রানা। ডান দিকে আক্রমণের দায়িত্বে ইব্রাহিম এবং বাঁ দিক সামলেছেন রাকিব হোসেন। গোলের মূল দায়িত্বে সুমন রেজা। কিন্তু সেই গোলের দেখা আর মেলেনি পুরো ৯০ মিনিট জুড়ে খেলা ম্যাচে।
যদিও ম্যাচের শুরুতেই অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়া বল জালে জড়ালেও অফসাইডের কারণে তা বাতিল হয়। জামালের কর্নারে তপুর হেড কোনমতে রুখে দেন কিরণ চেমজং লিম্বু। ফিরতি প্রচেষ্টায় জামালের শট জালে জড়ালেও অফসাইডে বাতিল হয়।
৩০ মিনিটে মানি কুমারের অনেক দূর থেকে নেওয়া ফ্রি-কিকে জুং কারকির হেড শুয়ে পড়ে রুখে দেন সুজন হোসেন। পরে তারিক কাজী বলটি ক্লিয়ার করেন। মিনিট তিনেক পর মানি কুমারের ফ্রিকিকে পা ছোঁয়ানোর কেউ ছিল না। ৩৪ মিনিটে বক্সের বাইরে নেপালকে ফ্রি-কিক উপহার দেন সাদ উদ্দিন। তবে মানি কুমারের ফ্রি-কিক সহজেই আয়ত্তে নেন সুজন হোসেন। ৩৯ মিনিটে রহমতের লম্বা কর্নার কিপার রুখে দিলেও ফিরতি শটে বল পোস্টে রাখতে পারেননি সুমন রেজা।
বিরতি থেকে বাংলাদেশ ফিরেছে একটি পরিবর্তন নিয়ে। প্রথমার্ধে নিভে থাকা ইব্রাহিমকে তুলে নিয়ে নামানো হয় শাহ রাইয়ান ইমনকে। ৭২ মিনিটে বাঁ দিক থেকে সুমন রেজার ক্রসে রাকিব হেড করলেও সেটা গেছে অনেক বাইরে দিয়ে। মিনিট চারেক পর বদলি তাজ উদ্দিনে অনেক দূর থেকে নেওয়া শট হাত ফসকেছিল নেপাল কিপারের। তবে সামনে কেউ না থাকায় বিপদ হয়নি।
এভাবেই দুই দল আক্রমণ আর পাল্টা আক্রমণ শানালেও শেষ পর্যন্ত গোলের দেখা মেলেনি কোন শিবিরেই। মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) শেষ ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হবে একই মাঠে।