যশোর অফিস
নাশকতার পরিকল্পনা ও বিস্ফোরকের আলাদা মামলায় বিএনপি-জামায়াতের ৭ নেতাকর্মীকে অভিযুক্ত করে যশোর আদালতে চার্জশিট দিয়েছে পুলিশ। ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগ না পাওয়ায় দুই মামলার ৮৯ জনের অব্যহতির আবেদন করা হয়েছে চার্জশিটে। উভয় মামলার তদন্ত শেষে আদালতে এ চার্জশিট জমা দিয়েছেন তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই এসআই ইলিয়াস হোসেন ও চঁানপাড়ার ক্যাম্পের এসআই ওয়াহিদু্জ্জামান।
অভিযুক্ত আসামিরা হলো, যশোর শহরের পূর্ব বারান্দীপাড়ার মৃত আবুল হোসেনের ছেলে বাবু, সদরের হাটবিলা গ্রামের সুলতান মোল্যার ছেলে সুমন ও চুড়ামনকাঠি গ্রামের মোশারফ হোসেনের ছেলে মেহেদী হাসান এবং রূপদিয়া গ্রামের খালেক সরদারের ছেলে ইকরামুল সরদার, মৃত আবু জাফর খানের ছেলে লাইছ খান, জিরাট গ্রামের মৃত ওমদে আলীর ছেলে সরোয়ার হোসেন ও সাড়াপোলে গ্রামের ইছাহাক গাজীর ছেলে আলী কদর।
মামলার অভিযোগে জানা গেছে, ২০২৩ সালের ৪ অক্টোবর কোতয়ালি থানা পুলিশ শহরের শংকাপুরের চাতালের মোড়ের একটি আবাসন প্রকল্পের মধ্যে অভিযান চালায়। এ সময় নাশকতার উদ্দ্যোশে জড়ো হওয়ায় বিএনপি-জামায়াতের নেতাকর্মীরা পালিয়ে যাওয়ার সময় ৪ জনকে আটক করে পুলিশ। উদ্ধার করা হয় বোমা সাদৃশ্য বস্তু, বিস্ফোরিত বোমার কৌটা ও জালের কাঠি, বঁাশের লাঠি ও ইটের খোয়া। এ ঘটনায় এসআই শরীফ আল মামুন বাদী হয়ে আটক ৪ জনসহ ২০ জনের নামউল্লেখ করে কোতয়ালি থানায় নাশকতার পরিকল্পনা ও বিস্ফোরক আইনে মামলা করেন। মামলার তদন্তকালে বিভিন্ন সময় আরও কয়েকজনকে আটক করা হয়। দীর্ঘ তদন্ত শেষে আসামিদের দেয়া তথ্য ও সাক্ষীদের বক্তব্যে ঘনার সাথে জড়িত থাকায় ওই ৪ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট জমা দিয়েছেন তদন্তকারী কর্মকর্তা। ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগ না পাওয়ায় এজাহারনামীয় অপর আসামিসহ বিভিন্ন সময়ে আটক ৫৩ জনের অব্যহতির আবেদন করা হয়েছে চার্জশিটে।
অপরদিকে, ২০২৩ সালের ৩ অক্টোবর ভোরে সদরের নরেন্দ্রপুর পুলিশ ক্যামের সদস্যরা রূপদিয়া গ্রামের বায়তুস সালাম জামে মসজিদ এলকায় অভিযান চালায়। এ সময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় ধাওয়া করে তিন জনকে আটক করা হয়। উদ্ধার করা হয় ৬টি ককটেল, লাঠি ও ইটের খোয়া। এ ঘটনায় নরেন্দ্রপুর পুলিশ ক্যাম্পের এসআই বাদী হয়ে আটক ৪ জনসহ ১৭ জনের নামউল্লেখ করে নাশকতার পরিকল্পনা ও বিস্ফোরক আইনে মামলা করেন। এ মামলার তদন্ত শেষে আটক ওই ৪ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ পাওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে চার্জশিট দিয়েছেন তদন্তকারী কর্মকর্তা। ঘটনার সাথে জড়িত না থাকায় এজাহার নামীয় ও বিভিন্ন সময় আটক৩৬ জনের অব্যহতির আবেদন করা হয়েছে চার্জশিটে। উভয় চার্জশিটে অভিযুক্ত আসামিদের আটক দেখানো হয়েছে।