বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে চার মাস পর আবারও ভারত থেকে চাল আমদানি শুরু 

Share

যশোর অফিস 
প্রথম চালানে ৯টি ভারতীয় ট্রাকে এসেছে ৩১৫ মেট্রিকটন চাল বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১০টায় চালের চালানটি বেনাপোলে ঢুকেছে বলে জানান বেনাপোল সিএন্ডএফ ষ্টাফ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারন সম্পাদক সাজেদুর রহমান।
বেনাপোল স্থলবন্দরের উদ্ভিদ সংগনিরোধ কেন্দ্রের উপ-সহকারী কর্মকর্তা শ্যামল কুমার নাথ বলেন, চলতি বছরের ১৫ এপ্রিল এবন্দর দিয়ে সর্বশেষ চাল আমদানি হয়।২১ অগাস্ট বৃহস্পতিবার থেকে আবারও চাল আমদানি শুরু হয়েছে।
“এদিন ৯টি ট্রাকে ৩১৫ মেট্রিক টন চাল বেনাপোল বন্দরে পৌছায়।রাতেই আমদানিকৃত চালের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দ্রুত সনদ প্রদান করা হয় যাতে দ্রুত ছাড়করণ নিতে পারে।”
এই চাল আমদানি করেছেন বেনাপোলের আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান মেসার্স হাজি মুসা করিম অ্যান্ড সন্স এবং রপ্তানিকারক কলকাতার Sudharm Syatniryat pvt.Ltd. প্রতিকেজি চালের আমদানি মূল্য ধরা হয়েছে দশমিক ৪০৫ মার্কিন ডলার।যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ৫১টাকার সমান।
বাজারজাত করতে এর সঙ্গে পরিবহন, ট্রাক্স,গুদামভাড়া সহ আনুষঙ্গিক খরচ যুক্ত হবে।
আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান মেসার্স হাজি মুসা করিম অ্যান্ড সন্স-এর স্বত্বাধিকারী আব্দুস সামাদ বলেন,গত মঙ্গলবার থেকে ভারতীয় ৯টি ট্রাকে ৩১৫ মেট্রিক টন মোটা চাল আমদানির জন্য ভারতের পেট্রাপোল বন্দরে অপেক্ষায় ছিল। চালের চালানটি বৃহস্পতিবার রাতে বেনাপোল বন্দরে প্রবেশ করেছে। পেট্রাপোল বন্দরে আরও চালবোঝাই ট্রাক অপেক্ষা করছে।বেনাপোল কাস্টমসে বিল অব এন্ট্রি জমা দেওয়া হয়েছে।এই চাল ছাড় করার কাজ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে জানান তিনি।
বেনাপোল বন্দরের আমদানি-রপ্তানিকারক সমিতির সহসভাপতি আমিনুল হক জানান, চার মাস বন্ধ থাকার পর বৃহস্পতিবার থেকে বেনাপোল বন্দর দিয়ে ফের ভারত থেকে চাল আমদানি শুরু হয়েছে।
“বাজার স্থিতিশীল রাখতে বেসরকারি পর্যায়ে চাল আমদানির অনুমতি দিতে ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে আবেদন আহ্বান করে খাদ্য মন্ত্রণালয়। চলতি বছরের ২৩ জুলাই থেকে ৭ অগাস্ট পর্যন্ত আবেদন গ্রহন করা হয়।সারা দেশের মতো বেনাপোল স্থলবন্দরের আমদানিকারকরা চাল আমদানির অনুমতি চেয়ে আবেদন করেন।

Read more