যশোর অফিস
যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (যবিপ্রবি) শিক্ষার্থীদের উচ্চশিক্ষা ও বিদেশে পড়াশোনার প্রস্তুতিমূলক দক্ষতা বৃদ্ধি, পরীক্ষার কাঠামো ও চারটি দক্ষতা- শ্রবণ, বলা, পড়া ও লেখা বিষয়ে ধারণা প্রদানের লক্ষ্যে ১৭ আগস্ট থেকে ১৯ আগস্ট তিন দিনব্যাপী প্রথমবারের মতো আইইএলটিএস বিষয়ক প্রশিক্ষণ কর্মশালা সম্পন্ন হয়েছে।
যবিপ্রবির ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা দপ্তরের আয়োজনে ‘তুমিই পারবে’ প্রোগ্রামের আওতায় ও জাস্ট রিসার্চ সোসাইটির সহযোগিতায় তিন দিনব্যাপী ‘হাউ টু স্টার্ট আইইএলটিএস প্রিপারেশন’-বিষয়ক প্রশিক্ষণ কর্মশালা জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম একাডেমিক ভবনের অধ্যাপক মোহাম্মদ শরিফ হোসেন গ্যালারীতে অনুষ্ঠিত হয়। ১৭ আগস্ট রোববার প্রশিক্ষণ কর্মশালা উদ্ধোধন করেন যবিপ্রবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ আব্দুল মজিদ।
আজ ১৯ আগস্ট মঙ্গলবার সমাপণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে যবিপ্রবি উপাচার্য বলেন, যবিপ্রবি হবে দক্ষ জনশক্তি তৈরির উৎস। প্রতিযোগিতাপূর্ণ এই পৃথিবীতে যদি আমাদের শিক্ষার্থীদের দক্ষ হিসেবে আমরা গড়ে তুলতে না পারি তাহলে আমাদের শিক্ষার্থীরা পিছিয়ে পড়বে। এজন্য বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের দক্ষতা বৃদ্ধি করতে অনেকগুলো পদক্ষেপ নিয়েছে। তারমধ্যে এই প্রশিক্ষণ কর্মশালা অন্যতম। শিক্ষার্থীরা তাদের বিশ্ববিদ্যালয়, জীবন শেষ হওয়ার আগেই তারা বিদেশে যাওয়ার প্রক্রিয়া ও আইইএলটিএস বিষয়ে পূর্ণাঙ্গ ধারণা পাবে। ইতোমধ্যে আমরা শিক্ষার্থীদের জন্য রিসার্চ ফেলোশিপ চালু, ইনোভেশন অ্যান্ড স্ট্যার্টআপ সাপোর্ট সেল তৈরির সিদ্ধান্ত নিয়েছি। শিক্ষার্থীদের ইংরেজি ভাষার পাশাপাশি তৃতীয় ভাষা শিখতে ও কম্পিউটার “স্কিল উন্নতকরণে সফট স্কিল অ্যান্ড অ্যাডভান্সড ল্যাঙ্গুয়েজ প্রোফিয়েন্সি ডেভেলপমেন্ট কোর্স” চালু করেছি। এ ধরনের উদ্যোগ তোমাদের দক্ষ জনশক্তি হিসেবে গড়ে তুলতে সহায়ক হবে বলে আমি মনে করি।
‘আইইএলটিএস’ বিষয়ক তিনদিন ব্যাপী এ প্রশিক্ষণে প্রশিক্ষক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন যবিপ্রবির বিদেশগামী সাবেক শিক্ষার্থী শোয়েব মাহমুদ, সজল, আল সাবের পিয়াস, সাইদ আনোয়ার ও আসিফ ইকবাল জীবন। বক্তারা ‘আইইএলটিএসের’ চারটি বিষয়- শ্রবণ, বলা, পড়া ও লেখা বিষয়ে প্রায় দেড় হাজার শিক্ষার্থীকে প্রশিক্ষণ দেন।
কর্মশালায় ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা দপ্তরের পরিচালক ড. মো. রাফিউল হাসানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা দপ্তরের সহকারী পরিচালক ড. মো. শহিদুল ইসলাম, ড. মো. সাব্বির হোসাইন, ড. শফি আহমেদসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীবৃন্দ।