যশোর অফিস
যশোরে চুরির ঘটনায় দুটি মামলা রেকর্ড হয়েছে। দুটি ঘটনায় দুইজনকে আটক করা হয়েছে।
যশোর সেনানিবাসের মিলিটারি ফার্মে কর্মরত নাজমুল হুদা এজাহারে উল্লেখ করেছেন, গত ১৫ আগস্ট দুপুরে ১২টার দিকে ক্ষিতিবদিয়া ফায়ারিং রেঞ্জের দক্ষিণ পাশের ৩ নম্বর পাম্প এলাকায় ইমরান আলী (২২) নামে এক যুবক পাম্পের নাটবোল্ট খুলছিলো। সে সময় সেখানে ঘাষ কাটতে থাকা জুলফিকার আলী তাকে সেনানিবাসে চাকরি করে কি না জানতে চান। ইমরান সেনানিবাসে চাকরি করে বলে জানালে তার সন্দেহ হয়। সে সময় জুলফিকার মিলিটারি ফার্মের প্রহরীকে জানালে ইমরানের কাছে যায়। এবং তার হাতে নাটবোল্ট দেখতে পায়। ইমরান নাটবোল্ট চুরি করছিলো। পরে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে চুরির কথা স্বীকার করে। এই ঘটনায় কোতয়ালি থানায় মামলা হয় এবং ইমরানকে পুলিশে সোপর্দ করা হয়। ইমরান যশোর সদর উপজেলার দেয়াড়া গ্রামের মৃত মিঠুন হোসেনের ছেলে।
অন্যদিকে সদর উপজেলার জগমোহরপুর গ্রামের আব্দুল আজিজ মন্ডলের ছেলে ইসমাইল হোসেন এজাহারে উল্লেখ করেছেন, গত ৯ আগস্ট দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে তিনি ঘুমিয়ে পড়েন। রাত ৩টার দিকে প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে গিয়ে মোবাইল খুঁজতে থাকেন। কিন্তু সেটা না পেয়ে দেখেন তার ল্যাপটপটিও নেই। কে বা কারা দুটি মোবাইল ফোনসেট ও ল্যাপটপ চুরি করে নিয়ে গেছে। এই ঘটনায় তিনি থানায় অভিযোগ করেন।
পুলিশ তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে নড়াইল সদর উপজেলার বাহিরগ্রামে অভিযান চালিয়ে সোহান মোল্লা (২৩) নামে এক যুবককে আটক করে। সোহান ওই গ্রামের তাহের মোল্লার ছেলে। বর্তমানে সে যশোর সদর উপজেলার হাশিমপুর গ্রামের বসবাস করে। পরে তার কাছ থেকে চুরি হওয়া দুইটি মোবাইল ফোনসেট ও ল্যাপটপ উদ্ধার করা হয়।
কোতয়ালি থানার এসআই আনিছুর রহমান জানিয়েছেন, সোহান একজন চিহ্নিত চোর ও মাদক কারবারি। তার বিরুদ্ধে কোতয়ালি থানায় তিনটি মামলা চলমান রয়েছে। শনিবার তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।