যশোর অফিস
সোনা চোরাচালান মামলায় চৌগাছার বড় কাবিলপুর গ্রামের হোমিও ডাক্তার শাহ আলমের ১৪ বছর সশ্রম কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ডের আদেশ দিয়েছে যশোরের একটি আদালত। এ মামলার অপর আসামি রিপনের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাকে খালাস দেয়া হয়েছে। রায়ে মামলায় জব্দকৃত ১৪ কেজি ৪৫০ গ্রাম সোনা রাষ্ট্রের অনুকুলে বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। সোমবার সিনিয়র স্পেশাল ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক শেখ নাজমুল আলম এক রায়ে এ আদেশ দিয়েছেন। সাজাপ্রাপ্ত শাহ আলম চৌগাছার বড় কাবিলপুর গ্রামের আব্দুর রহিমের ছেলে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পিপি অ্যাডভোকেট সৈয়দ সাবেরুল হক সাবু।
এদিকে এ দিন মামলায় জব্দকৃত ১৪ কেজি ৪৫০ গ্রাম সোনার মালিকানা দাবিদার চুয়াডাঙ্গা জীবননগরের ওবাইদুল্লাহকে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত।
মামলার অভিযোগে জানা গেছে, ২০২২ সালের ২০ মে সকালে চৌগাছার শাহজাদপুর বিজিবি বড় কাবিলপুর গ্রামের শ্মশানঘাট এলাকা থেকে শাহ আলমকে আটক করে। এ সময় তার দেহ তল্লাশি করে কোমরে বিশেষ কায়দায় বাধা ১২৪ টি সোনার বার উদ্ধার করা হয়। যার ওজন ১৪ কেজি ৪৫০ গ্রাম। দাম ১০ কোটি ১২ লাখ ৫১ হাজার টাকা। এ ঘটনায় বিজিবির নায়েক আবু রায়হান বাদী হয়ে চোরাচালান দমন আইমে আটক শাহ আলমের বিরুদ্ধে চৌগাছা থানায় মামলা করেন। এ মামলার তদন্ত শেষে আটক শাহ আলম ও রিপনুজ্জামান ওরফে রিপনকে অভিযুক্ত করে ৫ সেপ্টেম্বর আদালতে চার্জশিট জমা দেন তদন্তকারী কর্মকর্তা ইয়াসিন আলম চৌধুরী।
সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে আসামি শাহ আলমের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমণিত হওয়ায় বিচারক তাকে ১৪ বছর সশ্রম কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ৬ মাসের কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন। একই সাথে রায়ে মামলায় জবকৃত ১৪ কেজি ৪৫০ গ্রাম সোন রাষ্ট্রের অনুকুলে বাজেয়াপ্তের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। সাজাপ্রাপ্ত শাহ আলম কারাগারে আটক আছে।
এ দিকে রায়ের দিন গতকাল আদালতে উপস্থিত হয়ে চুয়াডাঙ্গা জীবননগর থানার জীবননগর গ্রামের মৃত ফয়জুল্লাহ মোল্যার ছেলে ওবাইদুল্লাহ চোরাচালান মামলায় জব্দ ১৪ কেজি ৪৫০ গ্রাম সোনর মালিকানা দাবি করে আদালতে কাগজপত্র জমা দেন। বিচারক তার কাগজপত্র গ্রহণ করে জাল বলে মণে হওয়ায় তাকে আটরে নির্দেশ দেন। পরে প্রতালনা ও জালিয়াতির অভিযোগ জেলা ও দায়রা জজ আদালতের দায়িত্ব প্রাপ্ত পেশকার আল আমিন আটক ওবাইদুল্লাহকে সোপর্দ ও বাদী হয়ে জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা মামলা করেছেন। সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রহমত আলী আসামিকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন।