যশোরে ছয় মাসে এইডস আক্রান্ত হয়েছেন মোট ৩৪ জন

Share

যশোর প্রতিনিধি 
সীমান্তবর্তী জেলা যশোর এখন এইচআইভি/এইডসের ঝুঁকির মুখে। সম্প্রতি এক সমন্বয় বৈঠকে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, শিক্ষার্থীরাও এখন এই মরণব্যাধির শিকার হচ্ছে। চলতি বছরের প্রথম ছয় মাসে এইডস আক্রান্ত হয়েছেন মোট ৩৪ জন, যার মধ্যে ১০ জন ছাত্র এবং ২৩ জন সমকামী। এই সংখ্যা গত বছরের তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে বেশি, যা স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ও অভিভাবকদের মধ্যে গভীর দুশ্চিন্তার সৃষ্টি করেছে।
সম্প্রতি যশোর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের সভাকক্ষে এইচআইভি বিষয়ক সহায়তা ও পরিষেবা বৃদ্ধি সংক্রান্ত একটি সমন্বয় বৈঠকে এই তথ্য উঠে আসে। সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়, মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়, ইউএনএইডস ও ইউনিসেফ যৌথভাবে এই বৈঠকের আয়োজন করে।
বৈঠকে উপস্থাপিত তথ্য অনুযায়ী, এই বছরের প্রথম ছয় মাসে আক্রান্ত ৩৪ জনের মধ্যে ২৪ জন পুরুষ এবং ১০ জন নারী। এর মধ্যে বিশেষভাবে উদ্বেগজনক হলো-আক্রান্তদের মধ্যে ১০ জন শিক্ষার্থী। গত বছর এই সংখ্যা ছিল ১১ জন। ৬ মাসেই এত সংখ্যক শিক্ষার্থী আক্রান্ত হওয়া ভবিষ্যতের জন্য একটি বড় হুমকি। এ ছাড়া ২৩ জন সমকামী এই রোগে আক্রান্ত হয়েছেন। ২০২৪ সালে যশোরে মোট ২৫ জন এইচআইভি/এইডসে আক্রান্ত হয়েছিলেন, যার মধ্যে ১১ জন শিক্ষার্থী ছিল। আক্রান্তদের মধ্যে পাঁচজন মারা যান।
বর্তমানে যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতালের এআরটি সেন্টারে ২২০ জন এইচআইভি/এইডস আক্রান্ত রোগী চিকিৎসা নিচ্ছেন। এই রোগীদের মধ্যে যশোর ছাড়াও খুলনা বিভাগের বিভিন্ন জেলার মানুষ রয়েছেন।
যশোরের জনসংখ্যা প্রায় ৩০ লাখ ৪৬ হাজার। এই হিসাবে প্রতি এক লাখ মানুষের মধ্যে একজন এইচআইভি/এইডস রোগী রয়েছেন। বিশেষজ্ঞদের ধারণা, সীমান্তবর্তী জেলা হওয়ায় এবং সেখানকার পরিবেশ ও পরিস্থিতির কারণে এই রোগ দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে। বিশেষ করে শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংক্রমণের ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকা নিয়ে সবাই চিন্তিত।
বৈঠকে ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীকে প্রতিরোধমূলক সেবা প্রদান, চিকিৎসা সহজলভ্য করা এবং প্রয়োজনীয় ওষুধের সরবরাহ নিশ্চিত করার বিষয়ে পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়।
সভায় সভাপতিত্ব করেন হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মো. হুসাইন শাফায়াত। এ ছাড়া উপস্থিত ছিলেন যশোরের সিভিল সার্জন ডা. মো. মাসুদ রানা, ইউনিসেফের এইচআইভি এইডস বিষয়ক স্পেশালিস্ট ডা. জান্নাতুল ফেরদৌস, প্রকল্পের পরিচালক ডা. মো. সাইদুর রহমান, সমাজ সেবা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক অসিত কুমার সাহা, যশোর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সহযোগী অধ্যাপক ডা. মোঃ শরিফুল আলম খান, ডাঃ গৌতম কুমার আচার্য্য, ডাঃ ইলাবতী মন্ডল, সহকারী অধ্যাপক ডাঃ অলোক কুমার সরকার, ডা. হাবিবা সিদ্দিকা ফোয়ারা, আবাসিক মেডিকেল অফিসা ডা. হাবিবা সিদ্দিকী ফোয়ারা, ডা. আ, ন, ম, বজলুর রশীদ, এআরটি কর্নারের মেডিকেল অফিসার ও ফোকাল পার্সন ডা. কানিজ ফাতিমা প্রমুখ।
হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মো. হুসাইন শাফায়াত, যশোরের সিভিল সার্জন ডা. মো. মাসুদ রানার সাথে যোগাযোগ করা হলে তারা বৈঠকে উন্থাপিত তথ্য সত্য বলে নিশ্চিত করেন। একই সাথে উদ্বেগ প্রকাশ করে অভিভাববকদের সচেতন হওয়ার আহবান জানান।#যশোরের ১০ দশিক্ষার্থী ও ২৩ সমকামী এইডস আক্রান্ত
বি এম আসাদ
সীমান্তবর্তী জেলা যশোর এখন এইচআইভি/এইডসের ঝুঁকির মুখে। সম্প্রতি এক সমন্বয় বৈঠকে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, শিক্ষার্থীরাও এখন এই মরণব্যাধির শিকার হচ্ছে। চলতি বছরের প্রথম ছয় মাসে এইডস আক্রান্ত হয়েছেন মোট ৩৪ জন, যার মধ্যে ১০ জন ছাত্র এবং ২৩ জন সমকামী। এই সংখ্যা গত বছরের তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে বেশি, যা স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ও অভিভাবকদের মধ্যে গভীর দুশ্চিন্তার সৃষ্টি করেছে।
সম্প্রতি যশোর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের সভাকক্ষে এইচআইভি বিষয়ক সহায়তা ও পরিষেবা বৃদ্ধি সংক্রান্ত একটি সমন্বয় বৈঠকে এই তথ্য উঠে আসে। সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়, মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়, ইউএনএইডস ও ইউনিসেফ যৌথভাবে এই বৈঠকের আয়োজন করে।
বৈঠকে উপস্থাপিত তথ্য অনুযায়ী, এই বছরের প্রথম ছয় মাসে আক্রান্ত ৩৪ জনের মধ্যে ২৪ জন পুরুষ এবং ১০ জন নারী। এর মধ্যে বিশেষভাবে উদ্বেগজনক হলো-আক্রান্তদের মধ্যে ১০ জন শিক্ষার্থী। গত বছর এই সংখ্যা ছিল ১১ জন। ৬ মাসেই এত সংখ্যক শিক্ষার্থী আক্রান্ত হওয়া ভবিষ্যতের জন্য একটি বড় হুমকি। এ ছাড়া ২৩ জন সমকামী এই রোগে আক্রান্ত হয়েছেন। ২০২৪ সালে যশোরে মোট ২৫ জন এইচআইভি/এইডসে আক্রান্ত হয়েছিলেন, যার মধ্যে ১১ জন শিক্ষার্থী ছিল। আক্রান্তদের মধ্যে পাঁচজন মারা যান।
বর্তমানে যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতালের এআরটি সেন্টারে ২২০ জন এইচআইভি/এইডস আক্রান্ত রোগী চিকিৎসা নিচ্ছেন। এই রোগীদের মধ্যে যশোর ছাড়াও খুলনা বিভাগের বিভিন্ন জেলার মানুষ রয়েছেন।
যশোরের জনসংখ্যা প্রায় ৩০ লাখ ৪৬ হাজার। এই হিসাবে প্রতি এক লাখ মানুষের মধ্যে একজন এইচআইভি/এইডস রোগী রয়েছেন। বিশেষজ্ঞদের ধারণা, সীমান্তবর্তী জেলা হওয়ায় এবং সেখানকার পরিবেশ ও পরিস্থিতির কারণে এই রোগ দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে। বিশেষ করে শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংক্রমণের ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকা নিয়ে সবাই চিন্তিত।
বৈঠকে ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীকে প্রতিরোধমূলক সেবা প্রদান, চিকিৎসা সহজলভ্য করা এবং প্রয়োজনীয় ওষুধের সরবরাহ নিশ্চিত করার বিষয়ে পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়।
সভায় সভাপতিত্ব করেন হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মো. হুসাইন শাফায়াত। এ ছাড়া উপস্থিত ছিলেন যশোরের সিভিল সার্জন ডা. মো. মাসুদ রানা, ইউনিসেফের এইচআইভি এইডস বিষয়ক স্পেশালিস্ট ডা. জান্নাতুল ফেরদৌস, প্রকল্পের পরিচালক ডা. মো. সাইদুর রহমান, সমাজ সেবা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক অসিত কুমার সাহা, যশোর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সহযোগী অধ্যাপক ডা. মোঃ শরিফুল আলম খান, ডাঃ গৌতম কুমার আচার্য্য, ডাঃ ইলাবতী মন্ডল, সহকারী অধ্যাপক ডাঃ অলোক কুমার সরকার, ডা. হাবিবা সিদ্দিকা ফোয়ারা, আবাসিক মেডিকেল অফিসা ডা. হাবিবা সিদ্দিকী ফোয়ারা, ডা. আ, ন, ম, বজলুর রশীদ, এআরটি কর্নারের মেডিকেল অফিসার ও ফোকাল পার্সন ডা. কানিজ ফাতিমা প্রমুখ।
হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মো. হুসাইন শাফায়াত, যশোরের সিভিল সার্জন ডা. মো. মাসুদ রানার সাথে যোগাযোগ করা হলে তারা বৈঠকে উন্থাপিত তথ্য সত্য বলে নিশ্চিত করেন। একই সাথে উদ্বেগ প্রকাশ করে অভিভাববকদের সচেতন হওয়ার আহবান জানান।#

Read more