যশোর অফিস
জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) আয়োজিত ‘গণঅভ্যুত্থানের ১ বছর: গণআকাঙ্ক্ষার বাংলাদেশ বিনির্মাণের প্রত্যাশা, প্রাপ্তি ও চ্যালেঞ্জ’শীর্ষক আলোচনা সভায় বক্তারা বলেছেন,২০২৪ সালের ৫ আগস্টের গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে জনগণের গাঠনিক শক্তির উত্থান ঘটেছে। ওই দিন হাসিনার দীর্ঘ ফ্যাসিবাদী শাসনের পতনের মাধ্যমে ‘গণসার্বভৌমত্ব’ প্রতিষ্ঠা পায়।
বক্তারা বলেন, এই গণসার্বভৌমত্ব জনগণকে এনে দিয়েছে ‘কনস্টিটুয়েন্ট পাওয়ার’ বা গাঠনিক ক্ষমতা, যার ভিত্তিতে নতুন বাংলাদেশ গঠনের পথ তৈরি হয়েছে। কিন্তু এর পরিবর্তে চলছে লোক দেখানো সংস্কার, যেখানে জনগণের মতামতের কোনো প্রতিফলন নেই। ফ্যাসিবাদী কাঠামোর ভিত না বদলে শুধু নির্বাচন ও সংস্কারের আড়ালে গণঅভ্যুত্থানের চেতনা সংকুচিত করার চেষ্টা চলছে।
তারা আরও বলেন, নতুন বাংলাদেশ গড়তে হলে ফ্যাসিস্ট রাষ্ট্রকাঠামো বদলে একটি নতুন গণতান্ত্রিক সংবিধান রচনা করতে হবে।
মঙ্গলবার বিকেলে শহরের আলমগীর সিদ্দিকী হলে যশোর জেলা এনসিপি এই আলোচনা সভার আয়োজন করে। সভায় সভাপতিত্ব করেন এনসিপির জেলা সংগঠক মুনিরুজ্জামান আজাদ। বিশেষ অতিথি ছিলেন ৯০’র গণঅভ্যুত্থানের ছাত্রনেতা মেহদি-উর রহমান টুটুল।
সভায় আরও বক্তব্য রাখেন এনসিপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ইয়াহিয়া জিসান, জেলা সংগঠক মো. নুরুজ্জামান, ছাত্রনেতা আল মামুন লিখন, ছাত্র প্রতিনিধি খন্দকার রুবাইয়া ও উম্মে সাদিয়া। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সাংবাদিক ও অ্যাক্টিভিস্ট সালমান হাসান রাজিব।