যশোরে এক ছাত্রীকে বাড়িতে নিয়ে গিয়ে বিয়ে আটকে রাখার ঘটনায় থানায় মামলা 

Share

যশোর অফিস 
যশোরে সপ্তম শ্রেণির ছাত্রীকে (১২) জোর করে বাড়িতে নিয়ে গিয়ে বিয়ে এবং আটকে রাখার ঘটনায় কোতয়ালি থানায় মামলা হয়েছে। ওই ছাত্রীর দাদা কোতয়ালি থানায় একই পরিবারের তিনজনের নাম উল্লেখ করে মামলাটি করেন।
আসামিরা হলো, চৌগাছা উপজেলার চন্দ্রপুর গ্রামের বাবুর আলী ওরফে বাবু (৪০) ও তার স্ত্রী আশুরা বেগম (৩৫) এবং ছেলে রাসেল হোসেন (১৯)।
এজাহারে ওই ছাত্রীর দাদা উল্লেখ করছেন, তার বাড়ি সদর উপজেলায়। তার ছেলে ঢাকায় চাকরি করে বিধায় পুতনী (১২) তার কাছে থাকে এবং চৌগাছার সুলায় বাজার এলাকার একটি স্কুলে লেখাপড়া করে। সলুয়া বাজারে রাসেলের একটি খাবার হোটেল আছে। স্কুলে যাতায়াতের পথে প্রায় সময় আসামি রাসেল তার পুতনীকে উত্যক্ত করতো। এবং প্রেমের প্রস্তাব দিতো। কিন্তু তার পুতনী রাজি না হয়ে তার কাছে বলে। তিনি বিষয়টি রাসেলের পিতা মাতাকে জানালেও কোন কাজ হয় বরং উল্টো রাসেলের সাথে তার পুতনীর বিয়ের প্রস্তাব দেয়। পুতনী অপ্রাপ্ত বয়ষ্ক বিধায় তিনি রাজি হন। কিন্তু তারা হুমকি দিয়ে বলে রাসেলের বউ করবে তার পুতনীকে। গত ২ আগস্ট সকালে সাড়ে ৬টার দিকে তার পুতনী প্রাইভেট পড়ার কথা বলে বাড়ি থেকে বের হয়। এরপর আর বাড়িতে ফেরেনি। পরে তিনি খেঁাজ নিয়ে জানতে পারেন আসামিরা তার পুতনীকে জোর কবরে অপহরণে করে বাড়িতে নিয়ে গেছে। সেখানে রাসেলের সাথে তার বিয়ে দিয়ে রেখে দিয়েছে। তার পুতনী কান্নকাটি করলেও তাকে যেতে দিচ্ছে না। ফলে তিনি তাকে উদ্ধার করতে না পেরে থানায় মামলা করেন।

Read more