যশোর অফিস: যশোর জেনারেল হাসপাতলে ফিজিও থেরাপি সেন্টারের সেই নারী কর্মচারী চামেলী আক্তার পাখিকে (২৬) মারপিটের ঘটনায় কোতয়ালি থানায় মামলা হয়েছে।
অভিযুক্তরা হলো, সদর উপজেলার ডুমদিয়া গ্রামের আহসানুর রহমানের ছেলে মেঘনা থেরাপি সেন্টারের মালিক গোলাম রসুল (৪০), বাহাদুরপুর গ্রামের জহুরুল ইসলামের মেয়ে মিথিলা (২০) এবং দায়তলা গ্রামের সিদ্দিকুর রহমানের মেয়ে চম্পা (২০)।
অভিযোগপত্রে তিনি উল্লেখ করেছেন, তিনি শাহাজালাল ফিজিও থেরাপি সেন্টারে চাকরি করেন। আসামি গোলাম রসুল প্রায় সময় তাকে নানা আজেবাজে কথা বলে। তাকে উত্যক্ত করে। তাকে নিশেধ করলে তাকে হুমকি দেয়। চামেলী গত ২৪ জুলাই সকাল সাড়ে ৭টার দিকে হাসপাতালের ভেতরে যান। রোগির থেরাপি নিয়ে সে সময় তার সাথে গোলাম রসুলের দুই কমর্ী মিথিলা ও চম্পার সাথে কথাকাটাটি হয়। তিনি সেখান থেকে চলে যাওয়ার সময় আসামি গোলাম রসুল তার গতিরোধ করে। এবং তার ওপর আকস্মিক ভাবে হামলা করে। তাকে মারপিটে জখম করে সিঁড়ি থেকে ফেলে দেয়। হাতুড়ি দিয়ে মাথায় আঘাত করে। তার পড়নের কাপড় টেনে শ্লীলতাহানী ঘটনায়। সে সময় তার গলাই থাকা আট আনা ওজনের একটি সোনার চেইন টেনে ছিড়ে নেয় আসামি গোলাম রসুল। অন্য অভিযুক্তরাও চামেলিকে মারপিট করে। সে সময় চামেলী জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন এবং মারাত্মক জখম হন। তাকে সাথে সাথে হাসপাতালের ১০ নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়।
গত ২৬ জুলাই তিনি হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র নিয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ করলে পুলিশ প্রাথমিক তদন্ত শেষে ঘটনার সত্যতা পাওয়ায় গত মঙ্গলবার রাতে মামলাটি রেকর্ড করে।