জিতলেই সিরিজ জয় নিশ্চিত। হারলেও সমস্যা নেই, আরও একটি সুযোগ থাকবে। তবে এক ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ জয় নিশ্চিত করতে চায় বাংলাদেশ।
মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টায় মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে তিন ম্যাচ সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল।
সিরিজের প্রথম ম্যাচে তাসকিন আহমেদ ও মোস্তাফিজুর রহমানের গতির শিকার হয়ে ১৯.৩ ওভারে ১১০ রানে অলআউট হয় পাকিস্তান ক্রিকেট দল। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৪৪ রান করেন ওপেনার ফখর জামান।
বাংলাদেশ দলের হয়ে ৩.৩ ওভারে ২২ রানে ৩ উইকেট নেন তাসকিন আহমেদ। ৪ ওভারে মাত্র ৬ রানে ২ উইকেট শিকারের রেকর্ড গড়েন মোস্তাফিজুর রহমান।
১২০ বলে ১১১ রানের সহজ টার্গেট তাড়া করতে নেমে ৭ রানে ২ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। এরপর পারভেজ হোসেন ইমন ও তাওহিদ হৃদয়ের ৬২ বলের ৭৩ রানের রেকর্ড জুটিতে জয়ের কাছাকাছি পৌঁছে যায় টাইগাররা। ৩৭ বলে ৩৬ রানে ফিরেন তাওহিদ।
তবে ৩৯ বলে তিন চার আর ৫টি ছক্কার সাহায্যে ৫৬ রানের অনবদ্য ইনিংস খেলে ২৭ বল আগেই ৭ উইকেট হাতে রেখে দলের জয় নিশ্চিত করেন পারভেজ হোসেন ইমন। এই জয়ের মধ্য দিয়ে দীর্ঘ ৯ বছরের খরা কাটাল টাইগাররা। এর আগে ২০১৬ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে জয় পেয়েছিল বাংলাদেশ। এবার সিরিজ জয়ের পালা।
প্রথম ম্যাচে জয় পাওয়ায় বাংলাদেশ দ্বিতীয় ম্যাচে হয়তো উইনিং কম্বিনেশন ভাঙতে চাইবে না। যদি কোনো ইনজুরি না থাকে তাহলে আগের ম্যাচের একাদশই আগামীকাল মাঠে নামাতে পারে বাংলাদেশ।
তবে প্রথম ম্যাচে হেরে যাওয়ায় পাকিস্তান তাদের একাদশে পরিবর্তন আনতে পারে।
পরীসংখ্যানে দুই দল ২৩টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচে অংশ নেয়। তার মধ্যে বাংলাদেশ জয় পায় মাত্র ৪টিতে আর ১৯টিতে জয় পায় পাকিস্তান।
বাংলাদেশের সম্ভাব্য একাদশ: তানজিদ হাসান তামিম, পারভেজ হোসেন ইমন, লিটন কুমার দাস (অধিনায়ক), তৌহিদ হৃদয়, জাকের আলী অনিক, শামিম হোসেন, মাহেদী হাসান, রিশাদ হোসেন, তানজিম হাসান সাকিব, মোস্তাফিজুর রহমান ও তাসকিন আহমেদ।
পাকিস্তানের সম্ভাব্য একাদশ: ফখর জামান, সাইম আইয়ুব, মোহাম্মদ হারিস, হাসান নওয়াজ, সালমান আলি আগা (অধিনায়ক), মোহাম্মদ নওয়াজ, খুশদিল শাহ, আব্বাস আফ্রিদি, ফাহিম আশরাফ, সালমান মির্জা ও আবরার আহমেদ।