পুরাতন কসবায় ঘটে যাওয়া ঘটনার এজহার

Share

যশোর প্রতিনিধি _
শহরের পুরাতন কসবা বিবি রোডস্থ লিচুবাগান এলাকার মৃত মোহাম্মদ আলীর স্ত্রী পারুল বেগমের দায়েরকরা মামলার আসামিরা হলো, একই এলাকার শেখ রিপন ও তার স্ত্রী সাবিনা বেগম এবং ছেলে রিফাত আহমেদ সানিপ, আমবাগান এলাকার আমির হোসেনের ছেলে সম্রাট এবং একই এলাকার আলমগীর হোসেন।
এজাহারে পারুল উল্লেখ করেছেন, তার ছেলে শাকিল (২৩) একটি ফার্মেসীতে কাজ কাজ করে। গত ৯ জুলাই বিকেলে তার ছেলে বাড়ির সামনে দিয়ে যাচ্ছিল। ববির বাড়ির সামনে পৌছালে আসামিরা তার ছেলেকে ঘিরে ধরে। এবং লাঠিসোটা, ধারালো অস্ত্র দিয়ে মারপিটে জখম করে। তার পকেট থেকে দেড় হাজার টাকা কেড়ে নেয়। তার চিৎকারে আশেপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে আসামিরা চলে যায়। পরে তাকে উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাসপাতলে ভর্তি করা হয়। এই মামলায় পুলিশ শেখ রিপনকে আটক করেছে।
বাঘারপাড়া উপজেলার বারভাগ গ্রামের মুসা মোল্লার ছেলে রাইসুল ইসলামের দায়েরকরা মামলার আসামিরা হলো, যশোর শহরের নাজির শংকরপুর হাজারিগেট এলাকার মোক্তার মোল্লার ছেলে আল-আমিন এবং বিল্লাল হোসেনের ছেলে নয়ন।
এজাহারে রাইসুল ইসলাম উল্লেখ করেছেন, গত শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে তিনি সদর উপজেলার বসুন্দিয়া বাজারে ছিলেন। সে সময় উল্লেখিত ওই আসামি ছাড়াও অজ্ঞাত আরো ৫জন তার কাছে যায়। এবং তাকে ডেকে নিয়ে একটি ঘরের মধ্যে আটকে রেখে মারপিট করে। তার কাছ থেকে নগদ ৫ হাজার টাকা এবং একভরি ওজনের একটি সোনার চেইন ছিনিয়ে নেয়। তাকে ঘরে আটকে রেখে আসামিরা চলে যায়। পরে তার চিৎকারে আশেপাশের লোকজন এগিয়ে এসে উদ্ধার করে এবং যশোর জেনারেল হাসপাতলে ভর্তি করে। এই মামলায় পুলিশ আল-আমিনকে আটক করেছে।
শহরের বেজপাড়া বিহারী কলোনী এলাকার খুরশিদ আলমের মেয়ে চাঁদনী খাতুনের দায়েরকরা মামলার আসামিরা হলো, হাবিব ও তার স্ত্রী শিল্পী, নাসিমের স্ত্রী ডলি এবং সোহরাবের ছেলে শাহাদৎ হোসেন।
এজাহারে চাঁদনী খাতুন উল্লেখ করেছেন, আসামি আর তাদের বাড়ি পাশাপাশি। তারা হঠাৎ করে সরকারি ম্যাপে বর্নিত রাস্তা বন্ধ করে দেয়। এতে তাদের চলাচলে বিঘ্ন সৃষ্টি হয়। গত ৫ জুলাই বিকেল ৫টার দিকে এ নিয়ে আসামিদের সাথে তর্কবিতর্ক হয়।
এ সময় হঠাৎ করে তার ওপর আক্রমন করে বসে। তাকে মারপিটে জখম করে। চুলের মুঠি ধরে মাটিতে ফেলে দিয়ে কাপড় টেনে ছিড়ে ফেলে এবং শ্লীলতাহানী ঘটনায়। এ সময় আশেপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে আসামিরা হুমকি দিয়ে চলে যায়। পরে তিনি যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হন এবং থানায় মামলা করেন।

Read more